তৃণমূলের নবজোয়ার কর্মসূচি সকলেরই মনে আছে। ওই কর্মসূচির পরই পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়েছিল। তারপর নানা উপনির্বাচনও হয়েছে। এমনকী লোকসভা নির্বাচনে মাটি কামড়ে পড়ে থেকে দলকে সাফল্য পাইয়ে দেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার সামনে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন। তাই জনমত বুঝতে আবার মাঠে নামছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই সেই কর্মসূচির প্রস্তুতিღ শুরু হয়ে গিয়েছে। এখন দলে সাংগঠনিক রদবদল করে এবং ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের ফলাফল দেখে তারপর মাঠে নামবেন ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ। সংগঠনকে বুথমুখী🅺 করতে দু’তিন মাসের এই কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে বলে সূত্রের খবর।
জনসংযোগ কর্মসূচির পাশাপাশি সংগঠনকে মজবুত করতেই এই বৃহৎ কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে। আর এই কর্মসূচির নেপথ্যে থাকছে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন। উন্নততর তৃণমূল গড়ে তুলতেই দলে শুদ্ধকরণ এবং প্রশাসনে সংশোধনের ‘প্রমাণ’ নিয়ে এবার দ্বিতীয় দফায় ময়দানে নামতে চলেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এখানে কোন কোন পদক্ষেপ করা হবে সেটা এখনও স্পষ্ট হয়নি। তৃণমূল কংগ্রেসের এক প্রবীণ নেতা বলেন, ‘জনপ্রতিনিধিদের প্রশাসনিক এবং রাজনৈতিক কাজের নিয়মিত মূল্যায়নের ব্যবস্থা রয়েছে। সেক্ষেত্রে মানুষের অভাব–অভিযোগ, সমস্যা এই কর্🅘মসূচিতে বাড়তি গুরুত্ব পাবে।’
২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে চতুর্থ পরীক্ষা। কারণ তিন বার সরকার গঠন করে হ্যাট্রিক করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এখন বেড়েছে প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা। কারণ দুর্নীতি, আইনশৃঙ্খলা থেকে আরজি কর হাসপাতালের ঘটনা বিরোধীদের অস্ত্র হয়ে উঠেছে। জনসংযোগ কর্মসূচিতে এই বিষয়গুলি নিয়ে মানুষের ক্ষোভ সামনে আসতে পারে। সেগুলি মোকাবিলা করে তাঁদের তৃণমূল কংগ্রেস সম্পর্কে আস্থা তৈরি করা কঠিন কাজ। নিজের নির্বাচনী কেন্দ্র ডায়মন্ডহারবারে ‘হেল্প ডেস্ক’ তৈরি করেছেন অভিষেক। সেটাই প্রত্যেক জেলায় ছড়িয়ে দিতে পারেন তিনি। ওই প্রবীণ নেতার বক্তব্য, ‘রাজনৈতিক এবং সামাজিক꧅ পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেই পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হবে।’
আরও পড়ুন: একাধিক পুরসভার কাউন্সিলরদের একাংশের বিরুদ্ধে উঠল অভিযোগ, জমা ‘দিদির দরবারে’
লোকসভা নির্বাচনে ২৯টি আসন তৃণমূল কংগ্রেস জিতলেও শহরের এবং পুরসভা এলাকার একটা বড় অংশের ভোট হাতছাড়া হয়েছে। ১০০ দিনের কাজের প্রাপ্য বকেয়া ইতিমধ্যেই মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে। ডিসেম্বর মাসের ৩১ তারিখের মধ্যে আবাসের প্রথম কিস্তির টাকা উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যাওয়ার কথা। তাতে একটা প্রভাব পড়বে ঠিকই। কিন্তু ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন দেরি আছে। ততদিন কি তা থাকবে? উঠছে প্রশ্ন। নাকি তার জন্য আরও কিছু কর্মসূচি আছে? জবাব মিলবে অভিষেকের পথে নামার পর।
‘🦩তৃণমূলে নবজোয়ার’ কর্মসূচির ধাঁচে রাজ্যব্যাপী বড় জনসংযোগ কর্মসূচিতে নানা সরকারি প্রকল্পকে সামনে নিয়ে আসা হবে। কারও কোনও সমস্যা থাকলে এই কর্মসূচি থেকেই তা পূরণ করা হবে। কেউ যদি সরকারি প্রকল্প না পেয়ে থাকেন অথচ তিনি যোগ্য তাহলে তা পাইয়ে দেওয়া হবে। রাজ্য সরকার ডিসেম্ব𒊎র মাস থেকে নানা উন্নয়নের কাজ শুরু করবে। তাই দল এবং স্থানীয় প্রশাসনে প্রস্তাবিত রদবদলের পরে নতুন একাধিক নেতা–কর্মীকে নিয়ে বিধানসভা নির্বাচনের আবহ নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেসের এই ‘নতুন’ প্রজন্ম।