বছর ঘুরলেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তাই প্রত্যেক জেলাতেই বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই একাধিক জেলায় সফর করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু বীরভূম জেলার জেলা সভাপতি এখন জেলে। ফলে সেখানে আরও বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এখন অনুব্রত মণ্ডল আসানসোল সংশোধনাগারে থেকেও 🍌পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন। সম্প্রতি তিনি আদালত চত্ত্বরে দাঁড়িয়ে দলের নেতা–কর্মীদের নির্দেশও দিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে বীরভূমের সব তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ককে ডেকে পাঠালেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে তাঁর কলকাতার ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসে ডাক পেয়েছেন জেলার ছাত্র, যুব, মহিলা এবং শ্রমিক সংগঠনের সভাপতিরাও। আগামী ২৬ নভেম্বর তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের অফিসে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
ঠিক কী বলছেন জেলার তৃণমূল কংগ্রেস নেতা? এই বিধায়ক এবং অন্যান্য শাখার নেতা–কর্মীদের তলব নিয়ে জোর আলোꦯচনা শুরু হয়েছে। এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসে🌺র বীরভূম জেলা সহ–সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘সব বিধায়ক এবং শাখা সংগঠনের নেতাদের ডাকা হয়েছে। এমনকী জেলার দুই সাংসদকেও ওই বৈঠকে ডাকা হয়েছে।’ এই বৈঠক যে পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তেমনটাই জানা গিয়েছে।
কেন এমন জরুরি তলব? সূত্রের খবর, অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে সাংগঠনিক শক্তি কেমন রয়েছে তা জেনে নিতে চান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কারণ এখানে দুই সাংসদ–সহ আটজনের সমন্বয় ꩵকমিটি গড়ে দেওয়া হয়েছিল। যার মাথায় আছেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী। একটি শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি গড়ে তার মাথায় রাখা হয়েছে লাভপুরের বিধায়ক অভিজিৎ (রানা) সিনহাকে। সম্প্রতি অনুব্রত মণ্ডল আসানসোল আদালতের এজলাসে দাঁড়িয়ে দলে🤪র কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমার অনুপস্থিতিতে চাঁদু (মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা) আর বিকাশের কথা শুনে চলবি।’