রাত পোহালেই ‘জনগর্জন’ সভা। সভাস্থল ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ড। লোকসভা নির্বাচন শুরুর প্রাক্কালে ট্রেলার দেখানো হবে এই সমাবেশ থেকেই। গোটা সিনেমাটা দেখা যাবে লোকসভা নির্বাচনে। 🔴রবিবার এই ব্রিগেড সমাবেশ সফল করতে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। ইতিমধ্যেই প্রত্যেক জেলা থেকে নেতা–কর্মীরা আসতে শুরু করেছেন। এই আবহে আজ, শনিবার বিকেলে সভার প্রস্তুতির কাজ খতিয়ে দেখলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ব্রিগেড সভার মূল মঞ্চের পাশাপাশি অন্যান্য মঞ্চও ঘুরে দেখেন তিনি। হাতে ম্যাপ নিয়ে মঞ্চের সব দিক, বুঝে নিলেন নিজের মতো করে।
এদিকে আজ বিকেলে ব্রিগেডের মঞ্চে এসে পৌঁছন অভিষেক। দেখা য🍎ায় তাঁর আশপাশে ভিড় করেছেন ছাত্র–যুব নেতানেত্রীরা। কলকাতার কাউন্সিলর বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাই স্বপন বন্🧜দ্যোপাধ্যায় (বাবুন), মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের ভাই স্বরূপ বিশ্বাস–সকলেই ছিলেন অভিষেকের পাশে। আরামবাগের বিদায়ী সাংসদ অপরূপা পোদ্দারকেও এদিন দেখা যায় মঞ্চে। বেশ কিছুক্ষণ কর্মীদের সঙ্গে কথাও বলেন অভিষেক। অভিষেক মানেই নয়া চমক। তাই ব্রিগেড সমাবেশ ঘিরে নতুন কী কী চমক থাকছে তা নিয়ে চিন্তা শুরু হয়েছে সর্বত্র। মঞ্চ থেকে লম্বা র্যাম্পে হেঁটে মানুষের কাছে পৌঁছে যাবেন মমতা–অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার সেই র্যাম্পে নিজে হেঁটে দেখেন অভিষেক। তার পর কর্ডলেস মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে আওয়াজ পরীক্ষা করেন।
আরও পড়ুন: কেন বারবার প্রধানমন্♛ত্রীকে বাংলায় আসতে হচ্ছে প্রচারের জন্য? প্রশ্ন তুললেন অধীর
অন্যদিকে এবারের ব্রিগেড সমাবেশের তিনটি মঞ্চের সঙ্গে জনগণকে ‘কানেক্ট’ করবে ৩৩০ ফুট দীর্ঘ র্যাম্প। আজ সেই র্যাম্পের প্রস্তুত🍸িও খতিয়ে দেখেন অভিষেক। আর এই পরিদর্শনের পর🌸 যাওয়ার সময়ে কর্মীদের উদ্দেশে বলে যান, ‘কাল দেখা হবে’। অর্থাৎ বিশাল সমাবেশে মানুষের মাঝে দেখা দেবেন তিনি। একটি মঞ্চে দলের এই রাজ্যের বিধায়করা থাকবেন। অন্য মঞ্চে মেঘালয়, অসম, ত্রিপুরা এবং উত্তরপ্রদেশের দলীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন। কলকাতার ব্রিগেড সমাবেশের রেশ সারা দেশ ব্যাপী ছড়িয়ে দিতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। সব ঠিক থাকলে এখান থেকেই বাংলার ৪২ কেন্দ্রের প্রার্থী ঘোষণা করতে পারে তৃণমূল কংগ্রেস।