বাংলার দুর্গাপুজো ক🌜মিটিগুলিকে নবান্নের পক্ষ থেকে আর্থিক অনুদান ঘোষণা করার পরই কোমর বেঁধে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে নানা কটূক্তি করতে থাকেন বিজেপি নেতারা। দুর্গাপুজো কিনতে চাইছে তৃণমূল সুপ্রিমো এমনও অভিযোগ তোলেন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ। প্রতিবেশী অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্ম🌳ার কটাক্ষও শোনা গিয়েছিল। এই বিষয়ে হিমন্তের বক্তব্য ছিল, ধর্মীয় অনুষ্ঠানে আর্থিক অনুদান দেওয়া কোনও সরকারের কাজ হতে পারে না। সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া আক্রমণ করা হয়। অথচ এই বছর দেখা গেল, আবার বাংলাকে অনুকরণ করল বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেখানো পথে হেঁটে অসম সরকারও দুর্গাপুজোয় অনুদান চালু করল।
এদিকে বিজেপির উত্তর–পূর্বের মুখ হিমন্ত বিশ্বশর্মা সরকার ঘোষণা করল, অসমের প্রত্যেকটি দুর্গাপুজো ꦑকমিটিকে ১০ হাজার টাকা করে সরকারি অনুদান দেওয়া হবে। যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করা হয়েছিল, এবার তাঁকেই অনুকরণ করা হল। তৃণমূল কংগ্রেস অবশ্য বলছে, একেই বলে ধর্মের কল বাতাসে নড়ে। এই ঘটনার মধ্যে দিয়ে বাংলার দুর্গাপু꧅জো নিয়ে কুৎসা, মিথ্যাচার এখন বুমেরাং হল বিজেপির কাছে। আগে বিজেপি বলেছিল, বাংলায় দুর্গাপুজো করতে দেওয়া হয় না। এখন সেই কলকাতাতেই দুর্গাপুজোর উদ্বোধন করতে এলেন অমিত শাহ। এই তথ্য তুলে ধরেছেন স্বয়ং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দুর্গাপুজো কমিটিগুলিকে আর্থিক সাহায্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বহু বছর ধরে করে আসছেন।
অন্যদিকে দিসপুরে অসম মন্ত্রিসভার বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা–সহ ক্যাবিনেট মন্ত্রীদের উপস্থিতিতে দুর্গাপুজো কমিটিগুলিকে আর্থিক অনুদান দেওয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত হয়। ๊এই বিষয়ে অসমের পর্যটনমন্ত্রী জয়ন্ত মালাবড়ুয়া সাংবাদিকদের জানান, রাজ্যের মোট ৬ হাজার ৯৫৩টি দুর্গাপুজো কমিটিকে অনুদান দেওয়া হবে। টানা তিন বছর দুর্গাপুজো করছে তারাই এই অনুদান পাবে। চাঁদার জোরজলুম রুখতেই এই পদক্ষেপ। এবার বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর দেখানো পথেই হাঁটতে হচ্ছে হিমন্ত বিশ্বশর্মার অসম সরকারকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মডেলকে নকল করতে হচ্ছে বলে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: দুর্গাপুজোয় পর্যটক টানতে এলাহি খাবার মেনু, তিস্তার বোরলি–পদ্মার ইল♎িশ রাখল উত্তরবঙ্গ
আর আগামী ২৫ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত পাঁচদিন, পাঁচ রাত নির্দিষ্ট একটি করে গ্রামে থাকবেন অসমের মন্ত্রীরা। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব মানুষের কাছে গিয়ে তাঁদের কথা শুনেছেন। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রামের পরিবারগুলির সঙ্গে মাটিতে বসে খেয়েছেন। সেই মডেল এখন নকল করে অস𒆙মের মানুষের মন জয় করার চেষ্টা করছে বিজেপি। ২০১১ সালে বাংলায় ক্ষমতায় আসার পরের বছর থেকেই দুর্গাপুজোকে আরও বড় আঙ্গিকে নিয়ে যেতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর্থিক অনুদান দিতে শুরু করেন। এই বিষয়ে দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বিজেপি নেতাদের উদ্দেশে বলেন, ‘বাংলার সমস্ত প্রকল্পেরই অনুকরণ করে ওরা। আবার ‘মমতা মডেল’–এর নকল করল। তাই বিজেপির উচিত নাকখত দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ক্ষমা চাওয়া।’