সিকিমে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ভাল প্রভাব পড়েছিল উত্তরবঙ্গে। তার জেরে এখানে পর্যটক আসা দুর্গাপুজোয় দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এখন অবশ্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক। সিকিমে স্কুল–কলেজ খুলে গিয়েছে। সেভক–সিকিম রোড আজ, বৃহস্পতিবার থেকে খুলে গিয়েছে। তাই আবার উ༒ত্তরবঙ্গমুখী হচ্ছেন পর্যটকরা। সেখানে যাতে পেটপুজো করা যায় তার আয়োজন করতে শুরু করেছেন উত্তরবঙ্গের হোটেলগুলি। পর্যটকদের কবজি ডুবিয়ে খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। দুর্গাপুজোর জন্য স্পেশাল নানা পদ নিয়ে উপস্থিত পাহাড়–ডুয়ার্স।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটছে? জলদাপাড়ার জঙ্গলে বসে পাখির ডাক শুনতে শুনতে⭕ পাতে মুচমুচে ভাজা বোরলি পেতে পারেন। এবার জলদাপাড়ায় রাজ্য সরকারের ট্যুরিস্ট লজে পর্যটকদের জন্য এমন ব্যবস্থাই থাকছে। সুগন্ধী তুলাইপাঞ্জি চালের ভাত দিয়ে দেশি মুরগির ঝোল খেতে কার না ভাল লাগে। ট্যুরিস্ট লজ সূত্রে খবর, পর্যটক টানতে চারদিন রাখা হয়েছে কচুপাতায় মোড়ানো ভাপা ইলিশ, ইলিশের মাথা দিয়ে কচুর শাক, তিস্তার বোরলি, রাইখোর মাছ, বেলাকোবার চমচম, গঙ্গারামপুরের ক্ষীর দই–সহ নানা জিভে জল আনা মেনু। এখন উত্তরবঙ্গে পর্যটক টানতেই এমন খাদ্যতালিকা তৈরি হয়েছে।
কেন এমন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে? বাঙালি খেতে ভা🥀লবাসে এটা সবারই জানা। তাই এই খাদ্যতালিকায় বাড়তি মাছ রাখা হয়েছে। খাওয়া এবং ঘুরে বেড়াতে নানা পদক্ষেপ করা হচ্ছে। দুর্গাপুজোর সময় বহু পর্যটকই উত্তরবঙ্গে আসেন। আর তাঁদের রসনাতৃপ্তির জন্য নানা পদ নিয়ে উপস্থিত ডুয়ার্স এবং পাহাড়। পাহাড়ে মাছ খুব একটা পাওয়া যায় না। তাই পর্যটকদের একটা খামতি লাগে। সেটা এবার আর হচ্ছে না। দুর্গাপুজোর সময় পর্যটকদের রসনাতৃপ্তিতে সরকারি–বেসরকারি হোটেলেও মাছের নানা পদ রাখা হচ্ছে। আর সেটা করতে গিয়ে সমতল থেকে নিয়ে আসা হচ্ছে বোরলি, ইলিশ, বোয়াল, আড় এবং হরেকরকমের মাছ।
আরও পড়ুন: সারারাত প্যান্ডেল হপিং করে ফেরার সময় পথ দুর্ঘটনা, পঞ্চ🍎মীতে▨ হাওড়ায় পিষে দিল লরি
আর কী জানা যাচ্ছে? এখানে দুর্গাপুজোর সময় প্রত্যেক বছরই পাহাড়–ডুয়ার্সের হোটেল, রিস🍒র্টে নানা বিশেষ মেনু হয়ে থাকে। এবারও হচ্ছে। চিকেন, থুকপা, মোমোর যেমন থাকছে তেমনই রাখা হচ্ছে পাঁঠার মাংস, রুই–কাতলার কালিয়া, পদ্মার ইলিশ, বোরলি–সহ নানা মাছের আইটেম। লাটাগুড়িতে ষষ্ঠী থেকেই শুরু হচ্ছে ফিস ফেস্টিভ্যাল। দুর্গাপুজোয় স্পেশাল মেনুর আয়োজন করছে সিকিমের বিভিন্ন হোটেলও। গ্যাংটক, পেলিংয়ের হোটেলে নবমী, দশমীতে বাঙালি ফুড করছে। কোচবিহারের বড়দেবীর পুজোতে ভোগের ব্যবস্থা করা হয়। চাল–ডাল–সবজি, পাঁঠার মাংস, বোয়াল মাছ দিয়ে তৈরি হয় ভোগ। নবমীর দিন মন্দিরে ভোগ বিতরণ করা হয়।