জন্মদিন পালন করতে বাড়িতে না জানিয়েই ঝাড়খণ্ড থেকে আসানসোলের মাইথন জলাধারে বেড়াতে এসেছিল ৬ বন্ধু। আর তারপর জলে নামতেই ঘটে গেল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। তলিয়ে গেল তিন ছাত্র। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার সন্ধ্যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ও উদ্ধারকারী দল তল্লাশি চালায়। সকালে ২ ছাত্রের দেহ উদ্ধার হয়েছে। আরও একজনের কোনও খোঁজ মেলেনি। ঘটনায় শোকের ♍ছায়া নেমেছে পরিব💦ারে। মৃত্যুরা সকলেই কিশোর। প্রত্যেকেই ঝাড়খণ্ডের ধানবাদের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: সাতসকালে গঙ্গায় স্নাꦫন করত♛ে নেমে মর্মান্তিক ঘটনা, তলিয়ে গেল ৪ কিশোর
জানা গিয়েছে, ওই ৬ পড়ুয়ার মধ্যে একজনের জন্মদিন ছিল। জন্মদিন পালন করার জন্যই তারা এখানে এসেছিল। তবে বাড়িতে কেউ বলে আসেনি। মৃত এক কিশোরের আত্মীয় জানান, কেউ বাড়িতে বলেছিল, ঘুরতে যাচ্ছে, আবার একজন নোট নেওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসে। এরপর বুধবার সন্ধ্যা নাগাদ তারা ঝাড়খণ্ডের ধানবাদ থেকে মাইথনে বেড়াতে আসে। মাইথনে আসার পর তিন টাওয়ারে জলে স্নান করতে নেমেই তলিয়ে যায় তিন ছাত্র। খবর পেয়ে প্রথমে স্থানীয়রা সেখানে পৌঁছয়। এদিকে, বাকি তিন ছাত্র সেখান থেকে পালিয়ে যায়। খবর দেওয়া হয় ছাত্রদের বাড়িতে । পরে ছাত্রদের পরিবারের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। এদি🐼কে, খবর পেয়ে স্থানীয় থানার পুলিশ ও উদ্ধারকারী দল পৌঁছয়। রাতভর তল্লাশি চালিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে দুই ছাত্রের দেহ উদ্ধার করে উদ্ধারকারী দল। তলিয়ে যাওয়া এক ছাত্রের খোজে তল্লাশি চলছে।
এই ঘটনায় প্রশাসনের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযܫোগ তুলেছে মৃতদের পরিবার। এক ছাত্রের পরিবারের দাবি, স্থানীয়রা পুরোদমে সাহায্য করেছেন। কিন্তু, পুলিশ প্রশাসন কোনওভওবেই সাহায্য করেনি। তাঁদের দাবি, বৃহস্পতিবার উদ্ধারে নামে প্রশাসন। বুধবার রাতে বার বার অনুরোধ করা সত্ত্বেও প্রশাসনের তরফে ব্যবস্থা করা হয়নি। যদিও এ প্রসঙ্গে, পুলিশের কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে জানা গিয়েছে , নিখোঁজ আরও এক ছাত্রের খোঁজ চালাচ্ছেন ডুবুরিরা।
পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথমে পালিয়ে যꦿাওয়া ছাত্ররা তাদেরকে কিছু বলতে চাইনি। পরে তারা জানতে পারেন যে সকলেই একসঙ্গে ছিল। এরপর জোর করতেই তারা সব ঘটনার কথা জানায়।স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, ওই জায়গাটি ২০ থেকে ৩০ ফুট গভীর ছিল। কোথাও কোথাও ছোট ছোট পাথরের চাঁই রয়েছে। তার ভিতরে গভীর খাদ রয়েছে। ছাত্ররা সকলেই ভিন রাজ্যের হওয়ায় এ সম্পর্কে তাদের জানা ছিল না।