গুরুপূর্ণিমাতে অন্ধকার নেমে এল তিনটি পরিবারে। স্নান করতে গিয়ে গঙ্গায় তলিয়ে গেল চার কিশোর। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার নোদাখালির বিড়লাপুর জেটিঘাটে। এই চারজন কিশ🌠োর স্কুল পড়ুয়া। এরমধ্যে দুজন একই পরিবারের। তারা দুই ভাই। ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোকের ছায়া ন🐲েমেছে চার কিশোরের পরিবারে। একইসঙ্গে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তাদের এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: রাতের অন♎্ধকারে রূপনা🌊রায়ণ নদে বালি চুরির চেষ্টা, তলিয়ে গেল ব্যক্তি
জানা গিয়েছে, গুরুপূর্ণিমা উপলক্ষে ৬ কিশোর একসঙ্গে সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ দক্ষিণ ২৪ পরগনার নোদাখালিতে গঙ্গায় স্নান করতে নেমেছিল। তাদের মধ্যে একজন কিশোর গঙ্গার কিছুটা মাঝে চলে যাওয়ায় জলের তোড়ে ভেসে যায়। তখন তাকে বাঁচাতে ঝাঁপিয়ে পড়ে বাকি ৫ কিশোর। তারাও তখন জলের স্রোতে ভেসে যায়। এরমধ্যে দুজনকে স্থানীয়রা উদ্ধার করতে সক্ষম হলেও বাকিরা তলিয়ে যায়। ঘটনার খবর পেয়ে তাদের উদ্ধারে নেমে পড়ে দমকল এবং নোদাখালি থানার পুলিশ। চার কিশোরই বিড়লাপুর জুটম😼িল এলাকার বাসিন্দা।
ওই চার নাবালকের নাম 💃হল দিপু কুমার শা (১৬) পিন্টু কুমার শা (১৪)। এছাড়াও ১৫ বছরের কিশোর দীপক মাহাতো এবং ১৬ বছরের বিভাস কুমার শা। এরমধ্যে দীপক এবং পিন্টু দুই ভাই। ঘটনাস্থলে নোদাখালি থানার পুলিশ ও দমকল কর্মীরাও নৌকার মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে তাদের খোঁজাখুঁজি করে। ঘটনাস্থলে বিপর্যয় মোকাবিলা দলের সদস্যদের আসার জন্য অনুরোধ করা হয়। পরে সেখানে পৌঁছয় বিপর্যয় মোকাবেলা ব🎐াহিনী। তারা কিশোরদের উদ্ধারে নেমে পড়ে। তবে দীর্ঘক্ষণ পেরিয়ে যাওয়ার পরেও নিখোঁজ কিশোরদের কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি। রাত অবধি তাদেরকে খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে জানা গিয়েছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। একইসঙ্গে শোকের ছায়া নামে ৪কিশোরের পরিবারে।
দীপু ও পিন্টুর বাবা প্রেমনাথ সাউ জানান, তিনি ঘটনার সময় জুটমিলে ছিলেন। ফোন পেয়েই তিনি তিনি ঘাটে ছুটে যান। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ছয় কিশোর সাঁতার জানত না। তাছাড়া গুরু নানকের জন্মদিন উপলক্ষে এ দিন স্কুল ছুটি ছিল। সেই সুযোগে তারা সকালে নদীতে স্নান করতে গিয়েছিল। আর তারপরেই এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে গেল। একসঙ্গে দুই সন্ত🐠ানকে হারিয়ে কার্যত শোকে পাথর হয়ে গিয়েছেন তাদের মা। কিশোরদের সন্ধান চালানো হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।