লোকসভা নির্বাচন মিটে গিয়েছে। সাফল্য এসেছে তৃণমূলꦦ কংগ্রেসের। ২৯টি আসন জিতেছে ঘাসফুল শিবির। কিন্তু তারপরও কোথাও যেন খামতি থেকে গিয়েছে। এমন মনে করার সঙ্গে সঙ্গে এবার আবার পথে নামতে চলেছেন জোড়াফুলের নেতা–নেত্রীরা বলে খবর। এবার দলের মহিলা সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করতে পথে নামছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর তাই আগামী ১ অগস্ট থেকে টানা একমাস রাজ্যের সমস্ত ব্লক ও পুরসভা এলাকায় ‘বৈঠকী সাক্ষাৎ’ করবে তৃণমূল মহিলা কংগ্রেস। আর সেপ্টেম্বর মাসে প্রথম দু’সপ্তাহ ধরে সাংগঠনিক জেলায় ‘মুখোমুখি আমরা’ বলে কর্মীসভা করা হবে। সেখানে দলের মহিলা কর্মী এবং সদস্যদের বেশি করে উপস্থিতি থাকবে বলে সূত্রের๊ খবর।
এবারের লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল পর্যালোচনা করে দেখা গিয়েছে, রাজ্যের মহিলা এবং নতুন প্রজন্ম বেশি করে ভোট দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসকে। গ্রামবাংলার দিকে এই ছবি দেখা গেলেও শহরাঞ্চলে এবং পুরসভা এলাকায় তা দেখা যায়নি। বাংলার ৪২টি আসনের মধ্যে ২৯টি আসনে জয়লাভ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই জয়ের পিছনে মহিলা ভোটব্যাঙ্ক অন্যতম বড় ফ্যাক্টর বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। এই মহিলাদের বিপুল ভোট পড়েছে জোড়াফুলের পক্ষে। সেটাকে ধরে রাখা এবং যেখানে মেলেনি সেখানে কাওজ করার লক্ষ্যেই এই বড় কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত স্তরে এবার বদলি ꦍনীতি আনছে রাজ🎉্য সরকার! জেলাশাসকদের কাছে এসেছে ফরমান
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অগস্ট মাসে জেলা সফর শুরু করতে পারেন বলে সূত্রের খবর। তিনি সমস্ত বিষয়গুলিই খতিয়ে দেখবেন। এই কর্মসূচিতেও যোগ দিতে পারেন। এখান থেকেই উঠে আসবে নানা তথ্য। যা যাচাই করে দেখা হবে এবং পদক্ষেপ করা হবে। সেখানে ‘বৈঠকী সাক্ষাৎ’ কর্মসূচি করা হবে। সরাসরি মানুষের সঙ্গে কথা বলে মতামত নেওয়া হবে। এটার কারণ এবার উত্তর বা দক্ষিণের বেশ কয়েকটি আসন হাতছাড়া হয়েছে। তাই আগামী ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন🐠ের লক্ষ্যে এখন থেকেই শুরু হ🌼য়ে যাচ্ছে সংগঠন প্রসারের প্রস্তুতি।
এখানে দুটি কর্মসূচি নেওয়া হবে। এক, ‘বৈঠকী সাক্ষাৎ’। দুই, ‘মুখোমুখি আমরা’। এই বিষয়ে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, ‘লোকসভা নির্বাচন পরবর্তীতে সাংগঠনিক জেলাভিত্তিক রিপোর্ট নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে, উত্তরবঙ্গের অনেক জেলায় মহিলা ভোট💯 বৃদ্ধি পেলেও কোচবিহার ছাড়া অন্য কেন্দ্রে সাফল্য আসেনি। আর দক্ষিণবঙ্গের অনেক কেন্দ্রে তৃণমূল জিতেছে🍌। কিন্তু মহিলা ভোটারদের আশানুরূপ সমর্থন মেলেনি। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার–সহ মুখ্যমন্ত্রীর নানা সামাজিক কর্মসূচির টানে আগের চেয়ে অনেক বেশি সংখ্যায় মহিলা ভোটাররা আমাদের দলে এসেছেন। তাঁদের সাংগঠনিক নেটওয়ার্কে নিয়ে আসতে এবার বিশেষ কর্মসূচি করা হচ্ছে।’