নয়াদিল্লিতে যখন সংসদে শীতকালীন অধিবেশন তুঙ্গে তখন তৃণমূল সুপ্রিমোর বাসভবন কালীঘাটে বসেছে ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক। তৃণমূল কংগ্রেসের এই ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক থেকে স্থির হয়ে যাবে জাতীয় রাজনীতিতে দলের অবস্থান। ইতিমধ্যেই ত্রিপুরা পুরসভা নির্বাচনের পর সেখানে প্রধান বিরোধী দল হিসাবে উঠে এসেছে তৃণমূল কংগ্রেস। মেঘালয় রাজ্যেও তাই। গোয়াতে সংগঠন মজবুত করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আজকের এই বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।আজকের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে ২১ জন সদস্যকেই ডাকা হয়েছে। এখানে তৈরি হওয়া সিদ্ধান্ত নিয়েই আগামী মাসে মুম্বই সফরে যাবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে সূত্রের খবর। সেখানে বৈঠক করবেন শরদ পাওয়ার এবং উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে। এমনকী আগামী বছর থেকে জাতীয় রাজনীতিতে কোন পথে তৃণমূল কংগ্রেস হাঁটবে তা নিয়ে চলছে জোর আলোচনা। ত্রিপুরা, গোয়া, মহারাষ্ট্র, হরিয়ানায় দলীয় কার্যকলাপ নিয়েও আলোচনা চলছে বলে খবর। এখন শীতকালীন অধিবেশনে প্রবল বিরোধিতার অবস্থান নেওয়ায় দুপুর পর্যন্ত সংসদ মুলতুবি হয়ে যায়। আগামীকাল থেকেও কোন পথে হাঁটতে হবে তা আজ সবাইকে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তাঁর মহারাষ্ট্র সফরে সঙ্গী হবেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সফরের কর্মসূচি নিয়েও আজ আলোচনা হচ্ছে।এদিকে কংগ্রেসের বৈঠক এড়িয়ে যাচ্ছে তৃণমূল নয়াদিল্লিতে। কারণ শুধু মুখে জোটের কথা বলা হচ্ছে, কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। এই নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। আগামীদিনে কংগ্রেসের সঙ্গে পথ চলা যাবে কিনা সেই সিদ্ধান্তই এই বৈঠকে তৈরি হচ্ছে। আজকের বৈঠকে উপস্থিত হয়েছেন গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সদস্য লুইজিনহো ফেলেইরো। এখন দেখার শেষমেশ এই হাইভোল্টেজ বৈঠক থেকে কোন সিদ্ধান্ত বেরিয়ে আসে।