𒁏বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত এখনও জলের তলায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় গোড়া থেকেই বলে এসেছেন এটা ম্যান মেড বন্যা। এমনকী ডিভিসির সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করার কথাও জানিয়েছেন তিনি। তবে বন্যা তা ম্যান মেডই হোক আর প্রকৃতির বিপর্যয়ের জন্য হোক না কেন মানুষের ভোগান্তি বাড়ে।
ꦫতবে বাংলার মুখ্য়মন্ত্রীও এবার ত্রাণ বিলিতে শামিল হলেন। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি এনিয়ে লিখেছেন। ছবিও দিয়েছেন।
মমতা লিখেছেন, বড়জোড়াতে ত্রাণ🧔 বিলি করলাম, ওই এলাকায় ম্যান মেড বন্যায় দুর্গতদের সহায়তার জন্য। ওদের পাশে আমি সবসময় আছি। লিখেছেন মমতা।
সেই সঙ্গে একাধিক ছবি পোস্ট করেছেন তিনি। সেখানে দেখা যাচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শাড়ি সহ অন্যান্য সামগ্রী বিলি করছেন।
ꦑএবার একাধিকবার মমতা দুর্গত এলাকায় গিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, ‘বাংলার দুর্ভাগ্য এখানে ও অসমে যত বন্যা হয়, অন্য কোথাও তা হয় না। বাংলার অবস্থা নৌকার মতো। ঝাড়খণ্ডে বৃষ্টি হলে আমাদের চিন্তা বাড়ে। কারণ নিজেদের বাঁচাতে জল ছেড়ে দেয়। ডিভিসি কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোনও কাজ না করার ফলে লক্ষ লক্ষ মানুষের ঘর ডুবেছে। ভোটের জন্য যে টাকা খরচ করা হয়, তার একাংশ দিলেও বন্যা আটকাতে পারতাম।’
𓃲পূর্ব বর্ধমানের বন্যা দুর্গত এলাকাতেও যান তিনি। সেখানকার সামগ্রিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন। ত্রাণ বিলির ক্ষেত্রে কোথাও ঘাটতি রয়েছে কি না সেটাও দেখা হয়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সকলকে বলব কেউ যাতে কুৎসা রটাতে না পারে সেদিকে নজর রাখতে। পাঁচটা কাজ করলে একটা ভুলভ্রান্তি হতেই পারে। তা দিয়ে ন্যারেটিভ না বানিয়ে, আসুন আমরা বন্যাকবলিত মানুষদের পাশে দাঁড়াই। সরকার যেমন করছে তেমন পুলিশও অনেক জায়গায় কমিউনিটি কিচেন করেছে। আমাদের দলের পক্ষ থেকেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যেখানে বন্যা হয়েছে, আমরা সেখানে সাধ্যমতো শুকনো খাবারের প্যাকেট দিচ্ছি। কেউ যেন বঞ্চিত না হয় সেটা আমাদের দেখতে হবে। আমি সাংসদদের বলেছি, তাঁদের কোটার যে টাকা আছে সেটা দিয়ে গ্রামীণ রাস্তাগুলি যতটা পারবেন করুন।’
🐭এর আগে এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছিলেন, ‘আর্ত মানুষের পাশে আজীবন থাকার প্রতিজ্ঞা নিয়েই রাজনীতির ময়দানে পা রেখেছিলাম। আজ আমার রাজ্যবাসীর একাংশ বন্যা পরিস্থিতির কারণে বিপদের সম্মুখীন। কাল আমি হুগলির পুরশুড়া, গোঘাট–আরামবাগ এলাকা এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালে গিয়েছিলাম। এছাড়াও বীরভূমের বন্যা কবলিত এলাকায় প্রশাসনের সঙ্গে নিরন্তর যোগাযোগ রেখেছি। আজ, পাঁশকুড়া, রাতুলিয়ার বন্যা কবলিত এলাকা সরেজমিনে ঘুরে দেখলাম এবং সেখানকার স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের আশ্বস্ত করলাম।’