পথ দুর্ঘ🉐টনার ক্ষেত্রে নতুন নিয়ম আনতে চলেছে কেন্দ্র সরকার। সে ক্ষেত্রে জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হলে মৃতের পরিবারকে ৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার পাশাপাশি ১০ বছরের জেল হবে। কিন্তু, ট্রাক চালকরা যদি দুর্ঘটনায় মারা যান, তাঁর পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কোনও আইন নেই। তার প্রতিবাদে রাজ্যজুড়ে চলছে ট্রাক চালকদের বিক্ষোভ–অবরোধ। সেই আবহে রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তীও এই আইনের বিরোধিতা করলেন। এমনকী এই আইনকে স্বৈরাচারী আইন বলেও তিনি উল্লেখ করেছেন।
আরও পড়ুন: বেসরকারি বাস বেশি ভাড়া নিচ্ছে প্রমাণ দিন, 𒆙ব্যবস্থা নেওয়ার শর্ত দিলেন মন্ত্রী
পরিবহনমন্ত্রী বলেছেন, ‘আইন দেশের মঙ্গলের জন্য হওয়া উচিত। কখনই তা মানুষের নিপীড়নের মাধ্যম হওয়া উচিত নয়। সরকার ন্যায়সংহিতা বিলের মাধ্যমে আইনের যে সংশোধন এনেছে ไআমারা তার তীব্র বিরোধিতা করে আগে বলেছিলাম এই আইনের ফলে মানুষের সমস্যা আরও বাড়বে। সেই আইনে পথ দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে কোন ট্রাকের ধাক্কায় মৃত্যু হলে ট্রাক চালকের দশ বছরের জেল এবং ৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানার কথা বলা হয়েছে। এর প্রতিবাদে সারা দেশ জুড়ে ট্রাক চালকরা প্রতিবাদ চালাচ্ছে।’ যদিও এভাবে পথ অবরোধ করে প্রতিবাদ করাটাকে সমর্থন করেননি মন্ত্রী। তাঁর বক্তব্য, ইভিএম মেশিন🔜ের মাধ্যমে প্রতিবাদ জানাতে হবে। তিনি বলেন, ‘আগামী যে ভোট আসছে সেই ভোটে এই ধরনের যে কালা কালুন দেশের মানুষকে সমস্যায় ফেলছে অবিলম্বে তার প্রতিবাদ জানাতে হবে।’
উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় সরকারের নয়া পরিবহণ আইনের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে আন্দোলনের সামিল হয়েছেন ট্রাক চালকরা। কোথাও অবরোধ কোথাও অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট চলছে। সেই আবহে♐ পশ্চিম বর্ধমান জেলার কাঁকসার তিনটি রাষ্ট্রায়াত্ত জ্বালানি তেল সংস্থার সামনে জ্বালানি তেল পরিবহণের ট্যাঙ্কার চলকরা তেল সংস্থার গেট বন্ধ না করে স্টিয়ারিং ছাড়ো আন্দোলনে সামিল হয়েছেন।
তাদের বক্তব্য, রাস্তার বেহাল অবস্থার কারণেই দ💃ুর্ঘটনা ঘটছে। এই দায় কেন্দ্রীয় সরকারের। তাই তারা কোনওভাবে কেন্দ্র সরকারের এই আইন মানবেন না। এর পাশাপাশি এদিন কলকাতার বন্দর এলাকাতেও বিক্ষোভ করেন ট্রাক চালকরা। তাদের দাবি, এই আইন প্রত্যাহার না হলে আগামী দিনে তারা বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন।