যাত্রীদের সুবিধার্থে যা🔜নবাহনে প্যানিক বটন এবং ভেহিকেল লোকেশন ট্র্যাকিং ডিভাইস লাগানোর নির্দেশ দিয়েছিল পরিবহণ দফতর। সেই মতোই সমস্ত যানবাহনে প্যানিক বটন এবং ভিএলটিডি বসানো হয়েছে। তবে এই সমস্ত যন্ত্𒆙র ঠিকমতো কাজ করছে না বলেই অভিযোগ তুলেছেন বেসরকারি যানবাহনের মালিকরা। কারণ এই বাটন চাপলে পরিবহণ দফতরের কাছে সঙ্কেত পৌঁছলেও তা পৌঁছচ্ছে না পুলিশের কাছে। ফলে প্যানিক বাটন বসিয়ে লাভ কী হচ্ছে তাই প্রশ্ন তুলেছেন বেসরকারি বাস মালিকরা। এই ত্রুটি খুঁজতে কমিটি গঠন করেছে পরিবহণ দফতর।
আরও পড়ুন: ব❀াণিজ্যিক যাত্রীবাহী গাড়িতে ভ🔯িএলটিডি, প্যানিক বাটন বসানোর সময় বাড়ল
প্যানিক বটনের মাধ্যমে কোনও যাত্রী সমস্যায় পড়লে তা ব্যবহার করতে পারবেন। তা হলে পুলিশ কন্ট্রোল রুমে পৌঁছে যাবে সেই বার্তা। এরপর নিকটবর্তী থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে দ্রুত পৌঁছে যাবে। এরপরেই সেখানে পুলিশ গিয়ে পদক্ষেপ করবে। আর গাড়িটি কোথায় রয়েছে তা ট্রাক করা যাবে ভিএলটিডির মাধ্যমে। সারাদেশের মতো এই রাজ্যেও ভিএলটিডি এবং প্যানিক বটন বসানো শুরু হয়। সে ক্ষেত্রে অভিযোগ, যে সংস্থা এই যন্ত্র বিক্রি করছে তারা অনেক বেশি দাম নিচ্ছে। তখন পরিবহণ দফতরের তরফে আরও বেশ কিছু সংস্থাকে এই যন্ত্র তৈরি করার জন্য ছাড়পত্র দেওয়া হয়। 🌃তাতে দাম কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে। এই যন্ত্র বসাতে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা খরচ। তবে এত টাকা খরচ করো ঠিকমতো কাজ করছে না এই যন্ত্র। তাতেই 🍃অসন্তুষ্ট বেসরকারি যানবাহনের মালিকরা।
পরিবহণ দফতরের আধিকারিকরা অবশ্য এরজন্য ভিএলটিডি প্রস্তুতকারক কয়েকটি সংস্থাকে দায়ী করেছেন। তাঁদের যুক্তি, শুধুমাত্র ওই কয়েকটি সংস্থার ভিএলটিডি মেশিনের ক্ষেত্রেই এই সমস্যা হচ্ছে। উল্লেখ্য, রাজ্য প্রায় ৬০ টি সংস্থা ভিএলটিডি সরবরাহ করছে। তবে ত্রুটি থাকায় ইতিমধ্যেই চারটি সংস্থাকে পরিবহণ দফতরের তরফ কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। তবে সত্যিই কি এই যন্ত্রে সমস্যা হচ্ছে না কি পরিবহণ দফতরের কন্ট্রোল রুমে সমস্যা হচ্ছে? তাই নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। এই অবস্থায় সমস্যা খুঁজে বের করতে রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী একটি বিশেষ টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করেছেন। এই কমিটিতে পরিবহণ দফতরের আধিকারিকদের 𒆙পাশাপাশি ভিএলটিডি উৎপাদক সংস্থার প্রতিনিধিরাও রয়েছেন। সেক্ষেত্রে ত্রু♌টি খতিয়ে দেখে ১৫ দিনের মধ্যে এই কমিটিকে রিপোর্ট দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরিবহণ মন্ত্রী জানান, এই ব্যবস্থা ত্রুটি মুক্ত করতে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।