ট্যাব কাণ্ডে সম্প্রতি শিলিগুড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল তিনজনকে। সেই ধৃতরা হলেন দিবাকর দাস ওরফে বিট্টু, বিশাল ঢালি এবং গোপাল রায়। ধৃতদের মধ্যে বিশালের মাসতুতো দাদা দিবাকর উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক। এই আবহে এবার গোয়েন্দারা দাবি করছেন, দুর্নীতির 'মাথা' আদতে এই শিক্ষক। এদিকে ধৃত গোপাল আবার দিবাকর এবং বিশালের জামাইবাবু হন। রিপোর্ট অনুযায়ী, রবিবার দুপুরে চোপড়া থেকে শিলিগুড়িতে বিশালের বাড়িতে গিয়েছিলেন দিবাকর। সেখানে এসেছিলেন গোপালও। পরে সেবক রোডে কটি শপিং মলের সামনে থেকে তিন জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বেহালার সরশুনা স্কুলের পড়ুয়াদের টাকা আত্মসাত করেছেন তাঁরা। এই আবহে ধৃতদের ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আলিপুর আদালত। (আরও পড়ুন: 'ক্রমেই ব⛄াড়ছে হিংসা…', বেলডাঙা নিয়ে মুখ্যমন্ত্🅷রীকে 'নির্দেশ জারি' রাজ্যপালের)
আরও পড়ুন: উদ্ধার লটারি দুর্নীতির ১২ কোটি, অভিযুক্ত সংস্থার মালিক ৫৪০ কোটি দিয়েছিলেন 🦹TMC-কে
পুলিশ জানাচ্ছে, ধৃত দিবাকরের বয়স ২৮ বছর। তিনি চোপড়ার ঘিরনিগাঁওয়ের দলুয়াহাটের বাসিন্দা। গত ফেব্রুয়ারিতে চোপড়ার মিরচাগোলগছ প্রাথমিক স্কুলে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। তাঁর মা পঞ্চায়েতের প্রাক্তন তৃণমূল প্রধান ছিলেন। তদন্তকারীরা দাবি করছেন, ‘বাংলার শিক্ষা’ পোর্টালের প্রযুক্তিগত ফাঁক কাজে লাগিয়ে ওই টাকা হাতিয়েছেন দিবাকর। এমনকী পুলিশি জেরার মুখে দিবাকর দেখিয়েও দিয়েছেন যে তিনি কীভাবে এই কাজ করেছেন। জানা গিয়েছে, প্রথমেই পোর্টালের যে 'ডিফল্ট পাসওয়ার্ড' দেওয়া হয়, সেটা বদলে নেওয়ার নির্দেশ থাকলেও অনেক স্কুলই তা করেনি। সেই সুযোগ নিয়ে সেগুলি 'হ্যাক' করে পড়ুয়াদের নামের পাশের অ্যাকাউন্টের নম্বর বদলে টাকা হাতিয়েছেন তিনি। ট্যাব কাণ্ডে এর আগে মালদা এবং কোচবিহারেরও দুই শিক্ষক ধরা পড়েছিলেন। তাঁদের সঙ্গে দিবাকরের যোগ ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছ। (আরও পড়ুন: এবার ইউনুসকে 'চাপ' আমেরিকার, বাংলাদেশ নিয়ে মার্কিন ℱপ্রশাসন বলল...)
আরও পড়ুন: 🌄ফের 'অপারেশন লোটাসের' তোড়জোড়? এক একজন বি𒅌ধায়ককে নাকি ১০০ কোটির টোপ!
আরও পড়ুন: আরজি কর কাণ্ডে এবার নয়া প্♚রমাণ হাতে আসবে CBI-এর? ঘুরে যাবে তদন্তের মোড়?
এদিকে ট্যাব কেলেঙ্কারিতে আজ গ্রেফতার করা হয়েছে আরও একজনকে। ধৃতের নাম সাব্বির আলম। মালদার হবিবপুর থানার পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেছে। জানা গিয়েছে, ধৃতের বাড়ি উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুরের কাজীবস্তি এলাকায়। সেখান থেকেই তাঁকে গ্রেফতার করেছে হবিবপুর থানার পুলিশ। হবিবপুর থানা অন্তর্গত কেন্দপুকুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ট্যাব কেলেঙ্কারির ঘটনায় মোট দু'জন গ্রেফতার হয়েছে এখনও। মঙ্গলবার অভিযুক্তকে নিয়ে যাওয়া হয় বুলবুলচন্ডী গ্রামীণ হাসপাতালে। সেখানে তাঁর মেডিক্যাল চেকআপ করায় হবিবপুর থানার পুলিশ। আজ মালদা জেলা আদালতে পেশ করা হবে সাব্বিরকে। এদিকে ধৃতের দাবি, মাটিকাটার টাকা ঢুকাবে বলে তাঁর অ্যাকাউন্ট নম্বর নিয়েছিলেন একজন। তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে বলে দাবি সাব্বিরের। (আরও পড়ুন: অভিষেক কন্যা ম𒅌ামলায় ২ তরুণীকে মারধরে CBI তদন্তে স্থগিতাদেশ বহাল সুপ্রিম কোর্টের)
এদিকে এর আগে রবিবার ট্যাব কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে বিধাননগর থেকে এক যুবককে গ্রেফতার করে ঝাড়গ্রাম সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। ধৃতের নাম মাঝারুল আলম। তাঁর বাড়ি উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া থানার আমতলায়। মাঝারুলকে বিনপুর উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির সাত পড়ুয়ার অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা হাতানোর অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। এই আবহে সোমবার ঝাড়গ্রাম সিজেএম আদালতে হাজির করানো হয়। ধৃতকে আটদিনের পুলিশি হেফাজতে পাঠায় আদালত। অপরদিকে উসমান আলি, মনসুর আলম, রৌশন জামাল ও মোতাকাবের আলি নামে চারজনকে রবিবার রাতে ইসলামপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে গ্রেফতার করে পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক থানার পুলিশ। সেই চারজন মালদাগামী বাসে ছিলেন। মোজাম্মেল হক নামক আরও একজন🐎কে সেদিন ইসলামপুর থেকেই গ্রেফতার করা হয়েছিল এই একই মামলায়।