দেশের যে জায়গাগুলিতে করোনাভাইরাসের প্রভাব বেশি, সেখান থেকে আগামী জুলাই পর্যন্ত ঘরোয়া উড়ান পরিষেবা বন্ধ রাখার দাবি জানꦑালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বড়জোর মাসে দু'দিন বিমান চালাতে যেতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি। একইসঙ্গে ‘ব🌺ন্দে ভারত মিশন’-এর আওতায় আসা বিমানগুলির ক্ষেত্রেও আপত্তি জানান।
শুক্রবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন, দিনকয়েক আগে চেন্নাই থেকে কলকাতায় এক করোনা আক্রান্ত যাত্রী না🍌মেন। তাঁর কাছে করোনা পজিটিভ হওয়ার স্লিপও ছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও তাঁর স্বাস্থ্যপরীক্ষা বা নমুনা পরীক্ষা করা হয়নি। ওই যাত্রী নিজেই হাসপাতালে ভরতি হয়েছিলেন বলে রাজ্যে বিষয়টি জা🧸নতে পেরেছে বলে দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী।
তাঁর আশঙ্কা, এরকম গাফিলতি হলে বিমানের বদ্ধ পরিবেশে তা মারাত্মক আকার করবে। গোষ্ঠী সংক্রমণ পর্যন্ত হতে পারে। পরিস্থিতি হাতের বাইরে বেরিয়ে যাবে। মমতা বলেন, 'যে জায়গাগুলিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেশি, সেখান থেকে আগ🀅ামী জুলাই পর্যন্ত ঘরোয়া উড়ান আসা বন্ধ করা হোক। ঘরোয়া উড়ান কলকাতা থেকে বাগডোগরা চলুক, কলকাতা থেকে অন্ডাল চলুক, বাগডোগরা থেকে অন্ডাল চলুক। আমার কোনও আপত্তি নেই। তবে ১৫ দিনে একবার চালানো যেতে পারে। আমরা দেখে নেব। টেস্ট করে নেব।'
মুখ্যমন্ত্রী জানান, অনেকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনও মানছেন না। পাশাপাশি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেন, ‘মুখে শুধু বলছে টেস্টিং, ট্র্যাকিং এবং ট্রেসিং। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে কিছুই হচ্ছে না। মাঝখান থেকে বাংলায় আমরা যেটা নিয়ন্ত্রণে র🌊েখেছি, সেটা বাড়িয়ে দিয়ে চল🅠ে যাচ্ছে।’
একইভাবে বিদেশ থেকে যে বিমানগুলি কলকাতায় আসছে (‘বন্দে ভারত মিশন’-এর আওতায়), সেগুলির অধিকাংশতেই ন্যূনতম স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তার জেরে রাজ্যে সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়ছে। তাই বিদেশ ফেরত সেই বিমানগুলির কলকাতায় অবতরণ নিয়ে আপত্তি জানিয়ে কেন্দ্রকে চিঠি দিচ্ছে নবান্ন। তবে পরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অন🧸েকের দরকার থাকে। মাসে একদিন অবতরণ করতে পাꦍরে।’