নিষেধাজ্ঞার ঘেরাটোপ শিথিল হওয়ায় সোমবার থেকে কলকাতায় শপিং মল ও রেস্তোরাঁ খুলে গেলেও জনসমাগম বিশেষ হয়নি। তবু আশার আলো দেখছেন ব্যবসায়ীরা। এ দিন রেস্তোরাঁ খুলে গেলেও পুরোদস্তুর মেনে চলা হয় স্বাস্থ্য দফতর নির্দশিত করোনারোধক শর্তাবলী। শহরের বিনোদনের প্রাণকেন্দ্র পার্ক স্ট্রিটে এ দিন দুপুর থেকেই একে একে উৎসাহীদের রেস্তোরাঁয় হাজিরা দিতে দেখা গিয়েছে। মোকাম্বো রেস্তোরাঁয় দুপুর পর্যন্ত পা রেখেছেন জনাকুড়ি গ্রাহক। মোকাম্বোর এক ম্যানেজার জানিয়েছেন, সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে গ্রাহকদের বসাতে ভোজনশালার অর্ধেক এলাকা ব্যবহার করা হয়েছে। গ্রাহকরা যে পানশালা খোলার অনুমতির কথা জানেন, তা তাঁদের খাবার ও পানীয়ের ফরমাইশ থেকেই বোঝা গিয়েছে। যদিও অধিকাংশ খাইয়েই মোকাম্বোর সিগনেচার ডিশ চিকেন আ লা কিয়েভ ও চিকেন টেট্রাজিনি অর্ডার দিয়েছেন, জানান ম্যানেজার। নিউ মার্কেট অঞ্চলে মোগলাই রসনার অন্যতম সেরা ঠিকানা আমিনিয়াতেও এ দিন দুপুরে গ্রাহক সমাগম হয়। প্রায় ৭০ জন ভোজনরসিক এই রেস্তোরাঁয় খেতে এসেছেন, জানিয়েছেন ম্যানেজার আফতাব আখতার। বেশিরভাগ খদ্দেরেরই পছন্দের তালিকায় ছিল আমিনিয়া স্পেশ্যাল বিরিয়ানি, চাঁপ ও রুটি। তবে এই সময় আমিনিয়ার বিখ্যাত আওয়াধি বিরিয়ানি পরিবেশন করা হচ্ছে না, জানিয়েছেন আখতার।রেস্তোরাঁর পাশাপাশি এ দিন শহরের শপিং মলগুলিতেও অনেকে হাজির হয়েছেন। সন্ধ্যা ৬.৩০ নাগাদ হাওড়ার এক শপিং মলে প্রায় হাজারখানেক গ্রাহকের সমাবেশ হয়েছিল বলে জানিয়েছে মল কর্তৃপক্ষ। তবে করোনা সংক্রমণ এড়ানোর নতুন স্বাস্থ্যবিধি মানতে এখনও অনেকেই সড়গড় হননি বলে জানিয়েছেন দ্য ফোরাম গ্রুপ-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর রাহুল সরাফ। দেখা গিয়েছে, অন্যান্য সময়ের মতো নিছক শপিং মলে বেড়াতে আসা নয়, এ দিন নির্দিষ্ট পণ্য কেনার উদ্দেশেই সেখানে হাজির হন গ্রাহকরা। বিক্রি হয়েছে পোশাক, জুতো, বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম এবং খাদ্যদ্রব্য। দক্ষিণ কলকাতার প্রিন্স আনওয়ার শাহ রোডের উপরের সাউথ সিটি মলেও এ দিন গ্রাহক সমাবেশ দেখা গিয়েছে। তবে নিরাপত্তা বিধি নিয়ে পদে পদে হোঁচট খেতে হয়েছে অনেককেই। মল কর্মীদের সহায়তায় অবশ্য সে সব কিছুই শেষ পর্যন্ত আয়ত্ত করতে বেগ পেতে হয়নি উৎসাহীদের। এ দিন বিকেলে পশ্চিমবঙ্গের কন্টেনমেন্ট জোনগুলিতে লকডাউনের মেয়াদ ৩০ জুন পর্যন্ত নির্দিষ্ট করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে ১৫ জুনের পরে বিয়ে, অন্ত্যেষ্টি এবং ধর্মস্থানে ২৫ জন পর্যন্ত উপস্থিত থাকতে পারবেন বলে জানিয়েছে রাজ্য প্রশাসন।