কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব নির্দেশ দেওয়ায় নয়াদিল্লিতে🌜 জরুরি বৈঠকে বসছে বঙ্গ–বিজেপি। আগামী ১১ অগস্ট এই বৈঠকের দিন ঠিক করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। এই বৈঠকে ডাকা হয়েছে রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষকে। এছাড়া এই বৈঠকে থাকার কথা শিবপ্রকাশ, অমিত মালব্য–সহ আরও দু’একজনের। যদিও এই 🦄বৈঠক নিয়ে রাজ্য বিজেপি কিছু জানায়নি।
হঠা🅘ৎ এই বৈঠক কেন? সূত্রের খবর, এই বৈঠকে বড় পরিকল্পনা করা হবে। সেই পরিকল্পনার নকশা অনুযায়ী বাংলার সরকারকে ফেলার কৌশল নেওয়া হতে পারে। ইতিমধ্যেই সুকান্ত মজুমদার বাড়িতে ইডি ঢুকিয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে। আর শুভেন্দু অধিকারী ভবিষ্যদ্বানী করেছেন, বিহার–ঝাড়খণ্ডের পর এই সরকারও যাবে। এই সরকারকে বিসর্জন দেবেন তাঁরা। আর তারপরই এই বৈঠক বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
আর কী জানা যাচ্ছে? বিজেপির পক্ষ থেকে অবশ্য বলা হচ্ছে বুথ সশক্তিকরণ এবং কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পগুলি বেশি করে মানুষের সামনে তুলে ধরার জন্যই এই বৈ✃ঠক। তবে বছর ঘুরলেই পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়েও বৈঠকে চর্চা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। আর বাংলায় যেসব নেতাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে সেটাকে কাজে লাগাতে ছক কষা হবে বলে সূত্রের খবর। সদ্য প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এমনকী সুকান্ত–শুভেন্দু নয়াদিল্লি গিয়ে শাহ–নড্ডার সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তারপর আবার ঝটিকা বৈঠক বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে🍷।
উল্লেখ্য, একুশের নির্বাচনে দুশো পারের স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে গিয়েছে। তারপর থেকে প্রতিটি নির্বাচনে গোহারা হেরেছে বিজেপি। এখন পার্থ চট্টোপাধ্যায় দুর্নীতির অভিযোগে ইডির হাতে গ্রেফত💛ার হওয়ায় বিজেপি নেতারা তেড়েফুঁড়ে নেমে পড়েছে। এই ইস্যুকে কাজে লাগিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনে ফায়দা তুলতে চাইছে তাঁরা। সেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে পাল্টা বলা হচ্ছে, যাঁর নামে অভিযোগ উঠেছে গল তাঁকে সরিয়ে দিয়েছে। কোনওরকম সমর্থন করা হচ্ছে না। এমনকী আরও যদি কারও নামে এমন শোনা যায় তাহলে তাঁদেরকেও সরিয়ে দেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই ঢেলে সাজানো হয়েছে জেলার সংগঠন। এসবের মধ্যেই ১১ তারিখের নয়াদিল্লিতে বসতে চলেছেন শুভেন্দু–সুকান্তরা।