দুর্গাপুজো আর মাত্র ১২ দিন বাকি। আর ওই উৎসবের ম♊রশুমে বাজারে আগুন হবে শাক–সবজির দাম। আজ, রবিবার যাঁরা বাজারে গিয়েছেন তাঁরা খানিকটা আঁচ পেয়েছেন। আর এই আগুনে দামে হাতে ছ্যাঁকা লাগবে আমজনতার। ফুলকপি থেকে আলু—সব সবজিরই দাম আকাশছোঁয়া। রাজ্যের অন্যান্য জেলা থেকে শুরু করে কলকাতার সব বাজারের একই অবস্থা। বিক্রেতারা বক্তব্য, সম্প্রতি রাজ্যের সর্বত্র অতিবৃষ্টি হয়েছে। যার জেরে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পচে গিয়েছে শাক–সবজি। আরামবাগ থেকে ভাঙড়—সর্বত্রই ফসলের অবস্থা খুব খারাপ। তাই চড়ছে ফসলের দাম।
এদিকে গত তিনদিনে শাক–সবজির দাম প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। টানা বর্ষণে খেতের ফসল নষ্ট হয়েছে। তাই দাম মাত্রাছাড়া হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনদিন আগেও করলা ৩০ টাকা কেজি দরে ൩বিক্রি হচ্ছিল। এখন তা কিলোপ্রতি ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ঢেঁড়শ, পটলের দাম প্রতি কেজি ৩০ টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৬০ টাকা হয়েছে। ৩০ টাকার কচু ৫০ টাকা। পেঁপের দাম প্রতি কেজিতে ১৫ থেকে বেড়ে ২৫ টাকা হয়েছে। শশা কাঁকরোল ৬০ টাকা। অতিবৃষ্টির আগে ক্যাপসিকামের দাম ছিল ১২০ টাকা কেজি। এখন সেটা ডবল সেঞ্চুরি করেছে, ২০০ টাকা। ৮০ টাকার কাঁচালঙ্কা ১২০ টাকা। আদার দাম ২৫০ টাকা কিলো। বাঁধাকপি ও ফুলকপির দামও চড়ছে। আলু, পেঁয়াজের দামে তেমন কোনও পরিবর্তন হয়নি।
অন্যদিকে এটাই আরও বাড়বে দুর্গাপুজোর সময়। তখন নাভিশ্বাস উঠবে মানুষজনের। মানিকতﷺলা বাজারে আজ নতুন আলু বিক্রি হয়েছে ৪০ টাকা কিলো দরে। গাজর ৫০ টাকা কিলো। টমেটো ৫০ টাকা কেজি। বাঁধাকপি ৫০ টাকা কেজি। বেগুন ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজি। ঝিঙে ৬০ টাকা কেজি। ফুলকপি ৫০ টাকা পিস। বড় সাইজের বেগুন ১০০ টাকা কেজি। সব সবজিতেই গড়ে কিলো প্রতি কুড়ি টাকা করে বেড়েছে। এই বাজার দরেই মানুষজন ত্রাহি ত্রাহি রব তুলেছেন। সেখানে দুর্গাপুজোর সময় যদি আরও বাড়ে তাহলে তো আমজনতার দামের ছ্যাঁকা লেগে হাত পুড়বেই।
আরও পড়ুন: ১৪৪ ধারা ভেঙে ধরনা কেমন করে? শুভেন্দুর সুরেই মু📖খ্যসচিবকে কড়া চিঠি রাজ্যপালের
এছাড়া পুরাতন মালদা, গাজোল, মুর্শিদাবাদে বন্যা পরিস্থিতি উন𒀰্নতি হলেও সবজির জমি নষ্ট হয়েছে। অনেক কৃষক শীতকালীন শাক–সবজি চাষ করেছিলেন। সেসব এখন জলের তলায়। ফলে সেই সবজিগুলি নষ্ট হয়ে গিয়েছে। স্থানীয় বাজারগুলিতে সবজির আকাল দেখা দিয়েছে। গ্রামবাংলা থেকে শহরে বেশিরভাগ সবজি আসছে না। ফলে যেটুকু আসছে তার আগুন দাম। তাই সবজি চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। এই বিষয়ে গাজোলের আটিলা গ্রামের এক কৃষক বলেন, ‘আটিলা মৌজার মাঠে বেগুন, করলা, বাঁধাকপি তিন বিঘা সবজি চাষ করেছিলাম। সেগুলি সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। আমার মতো অনেকেরই ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।’