খোলা বাজারে এখন সবজির দাম লাগামছাড়া। দাম বৃদ্ধির জেরে আমজনতার উঠছে নাভিশ্বাস। এবার সেখান থেকে জনগণকে স্বস্তি দিতে নয়া নীতি নিয়েছে নবান্ন। ‘কৃষকের দুয়ারে’ পৌঁছে গিয়ে তাঁদের উৎপাদিত সবজি সরসারি কিনছে রাজ্য সরকার। আর সেই সবজি বন্যাবিধ্বস্ত এলাকা–সহ বাংল🅠ার নানা অঞ্চলের মানুষ কাছে পৌঁছে যাচ্ছে। তাতে উপকৃত হচ্ছেন মানুষজন বলে💜 খবর। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে বাংলার মানুষকে কম দামে শাক–সবজি খাইয়ে থাকে ‘সুফল বাংলা’ প্রকল্প। সামনে দুর্গাপুজো। তাই এই স্টলের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। বাজারে এখন সবজিতে হাত দিলেই লাগছে ছ্যাঁকা। তাই এমন উদ্যোগ।
একদিকে বৃষ্টির দাপট অপরদিকে ডিভিসির জল ছেড়ে দেওয়ায় গ্রামবাংলায় এখন বানভাসী পরিস্থিতি। তার জেরে ফসল নষ্ট হচ্ছে। তাই আলু, পেঁয়াজের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে। মানুষকে তার জন্য দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এ𓂃ই কারণে কৃষি বিপণন দফতর নানা এলাকায় ১০৯টি অস্থায়ী কাউন্টার চালু করেছে। এই অস্থায়ী কাউন্টারের জন্য স্থানীয় কৃষকদের বাড়ি থেকে সরাসরি ফসল কিনছে রাজ্য সরকার। তাতে অন্যান্য খরচ ছাড়াই উৎপাদিত ফসল বিক্রি করতে পারছেন কৃষকরা। আর ফড়েরাজ খতম হয়ে যাবে। তাতে বেশি দাম পাবেন কৃষকরা। এই নয়া নীতির ফলে সরকারের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ তৈরি হচ্ছে কৃষকদের।
আরও পড়ুন: সম্প্রীতি উড়ালপুলে বসল ‘স্পিড বার’, পথ দুর্ঘটনা ও বেপরোয়া গতির গাড়ি রুখতে পদক্ষেপ
নবান্ন সূত্রে খবর, টাস্ক ফোর্স নামিয়েও দাম অনেকটা কমানো যায়নি। খানিকটা কমে গিয়েছে ঠিকই। তিন মাস আগে বাজারে আলুর দাম কেজিতে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল। সেটা এখন ৩২ থেকে ৩৪ টাকায় মিলছে। এটাও বেশি দাম বলে মনে করে রাজ্য সরকার। তাই কৃষকদের দুয়ারে গিয়ে সবজি–সহ আনাজপাতি কি🎉নছে রাজ্য সরকার। তাতে বাজারে সবজির দাম কমবে। নদিয়া, পূর্ব বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ এবং মালদার কৃষকদের বাড়ি থেকে আলু–সহ সবজি তুলে আনা হচ্ছে। রাজ্য সরকার গাড়ি ও শ্রমিক পাঠিয়ে কৃষকদের বাড়ি থেকে আলু সংগ্রহ করেছে। এক্ষেত্রে কৃষকরা বিনা খরচে তাঁদের ফসল বিক্রি করতে পারছেন। আর তা সুলভে পাচ্ছেন সাধারণ নাগরিকরা। এই ব্যবস্থা জেলাগুলিতে চলছে।
এই ঘটনায় একসঙ্গে দু’পক্ষ উপকৃত হচ্ছেন। কৃষক এবং সাধারণ মানুষ। মধ্যস্থতার কাজ করছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের কৃষি বিপণন অধিকর্তা গৌতম মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘রাজ্য সরকার স্বচ্ছতার সঙ্গে কৃষক ও ক্রেতার মধ্যে সেতুবন্ধন করছে। ফসলের সংগ্রহ ও বিপণন ব্যবস্থা গড়ে তুলছে। তার জেরে কৃষকরা দাম বেশি পাচ্ছেন আগের থেকে। আর সাধারণ মানুষ কম দামে স♏বজি কিনতে পারছেন। কালোবাজারি বন্ধ হচ্ছে।’ এবার গ্রামবাংলার পর শহরের মানুꦅষও পাবে কম দামে সবজি–আনাজ। এই ‘কৃষকের দুয়ারে’ প্রকল্প জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।