মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবজি🎃র দাম কমানোর জন্য ১০ দিনের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন। সেই সময়সীমা এখন প্রায় শেষ হওয়ার মুখে। আর তার আগেই মঙ্গলবার নবান্নে বৈঠক করে জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারদের র🙈াস্তায় নেমে দাম নিয়ন্ত্রণ করার নির্দেশ দিলেন মুখ্যসচিব বিপি গোপালিকা। আলুর দাম ৩৫ টাকার নীচে নামছে না কিছুতেই। আর তাই রাজ্য সরকার হিমঘর থেকে ব্যবসায়ীদের ভিন রাজ্যে আলু পাঠানো বন্ধের নির্দেশ দিল। পুলিশকে এই বিষয়ে কড়া নজরদারি চালাতে বলা হয়েছে। মঙ্গলবার রাজ্যের মুখ্যসচিব বিপি গোপালিকা মূল্যবৃদ্ধির সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে অফিসার পর্যায়ের বৈঠক করেন।
এদিকে এই কদিনে দাম কতটা কমানো গিয়েছে, পুলিশ, পুরসভা, টাস্ক ফোর্সের যৌথ অভিযান ঠিকমতো চলছে কিনা, বাজারে সবজির জোগান বাড়ল কিনা—সব নিয়েই খুঁটিয়ে রিপোর্ট নেন মুখ্যসচিব। ডিএম–এসপিদের প্রয়োজনে রাস্তায় নেমে বাজারে যাও𝓡য়ার পরামর্শ দেন তিনি। সবজির দাম যাতে আর কোনওভাবেই বাড়তে না পারে সেদিকে নজর রাখতে বলেছেন মুখ্যসচিব। এমনকী পাইকারি বিক্রেতারা সবজি, আলু, পেঁয়াজ বেআইনিভাবে মজুত করে রাখছেন কিনা, সেদিকেও সজাগ দৃষ্টি রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন। এই বৈঠকে স্বরাষ্ট্রসচিব, অর্থ সচিব, কৃষি, কৃষি বিপণন এবং সংশ্লিষ্ট দফতরের সচিব, এডিজি(আইনশৃঙ্খলা), এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ, কলকাতা পুরসভার অফিসাররা উপস্থিত ছিলেন। জেলাশাসক, পুলিশ সুপার, কমিশনাররা ভার্চুয়ালি বৈঠকে যোগ দেন।
অন্যদিকে এই বৈঠকে পুলিশ অফিসাররা জানিয়েছেন, অল্প হলেও খোলা বাজারে সবজির দাম কিছুটা কমেছে। সুফল বাংলার স্টল বাড়ানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে শহরের পাড়ায় পাড়ায় একটা করে স্টল খুলতে বলা হয়েছে। এই কাজে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে সরাসরি যুক্ত করতে🔜 বলা হয়েছে। এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের অফিসারদের ‘আচমকা অভিযান’ আরও বাড়াতে বলেছেন মুখ্যসচিব। এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের দাবি, টাস্ক ফোর্স পথে নামার পরে খোলা বাজারে আলুর দাম কিছু জায়গায় ৩৩ টাকা কিলোতে নেমেছে। মুখ্যসচিব বলেন, ‘কিছু জেলায় বাজারদর কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। কিন্তু তাতে সার্বিক পরিস্থিতির বিশেষ উন্নতি হয়নি।’
এছাড়া বাজারে আলু, পেঁয়াজের জোগান বাড়ানোর নির্দেশ দেন মুখ্যসচিব। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, কৃত্রিম ঘাটতি তৈরি করে একদল অসাধু ব্যবসায়ী এবং মজুতদাররা কালোবাজারি করতে দাম বাড়াচ্ছে। এই বিষয়েও পুলিশ–প্রশাসনকে সতর্ক করেন মুখ্যসচিব। রাজ্যের এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) মনোজ ভার্মা বলেন, ‘পুরসভার সঙ্গে যৌথভাবে আমরা বাজারগুলিতে অভিযান চালাচ্ছি। মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠক ছিল। দাম কমছে।’ মুখ্যসচিব এদিন জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের বলেন, ‘হিমঘর থেকে কেন বেশি আলু বাজারে আসছে না?🍸 আলুর বাজারদর নিয়ন্ত্রণ করতে হিমঘর থেকে আলু যাতে বেশি করে খোলা বাজারে আসে সেদিকে নজর দিন। খোলা বাজারে আলুর দাম কমলে ফের ভিন রাজ্যে গিয়ে ব্যবসা করুক কোনও আপত্তি নেই।’