পশ্চিমবঙ্গের কয়েক কোটি বাসিন্দার উদ্দেশে পাঠানো নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভিডিয়ো বার্তায় কাজ দিয়েছে। সেই বার্তা শুনে অনেকেই সামাজিক দূরত্ব বিধি, বাড়ির বাইরে যথাসম্ভব কম বেরোনো এবং উপসর্গ দেখা দিলে করোনা পরীক্ষা করানোর মতো পদক্ষেপে উৎসাহিত হয়েছেন। সম্প্রতি তাঁর গবেষণাপত্রে এমনই দাবি করেছেন নোবেলজয়ী ও তাঁর সহকর্মীরা, যা গণপরিষেবায় মেসেজিং-এর তাৎপর্য ব্যাখ্যা করেছে।আমেরিকার ন্যাশনাল ব্যুরো অফ ইকনমিক রিসার্চ প্রতিষ্ঠানে পাঠানো রিপোর্টে জানানো হয়েছে, গবেষণায় মোট ৮ রকম বার্তা ৭০০ স্বাস্থ্যকর্মী এবং ১,৮০০ এর বেশি প্রাক্তন ও বর্তমান গ্রামীণ নেতাকে পাঠানো হয়। বার্তায় জোর দেওয়া হয় সংক্রমণ রোধ করায় হাত ধোওয়া ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার উপরে, নিজের ও অন্যদের সঙ্গে নিজের জন্য খরচ করা এবং সামাজিক সমস্যার (অর্থাৎ কোভিড রোগীদের একঘরে করার প্রয়োজনীয়তা বা তাঁদের সম্পর্কে কর্তৃপক্ষকে জানানো অথবা এড়িয়ে চলা) উপরে। বার্তাগুলি পাঠানো হয়েছে পিন কোড স্তরে। গবেষকদের দাবি, মেসেজিংয়ের বাড়াবাড়ির এই সময়েও সমাজে সম্মানীয় ব্যক্তির থেকে বার্তা অতিরিক্ত গুরুত্ব আদায় করে এবং তার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্রভাব পড়ে জনমানসে।ঘটনায় তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী তাপস রায় বলেন. ‘অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ব্যক্তিত্ব। মুখ্যমন্ত্রী তাঁর মাধ্যমে রাজ্যবাসীর উদ্দেশে বার্তা দিতে চেয়েছিলেন এবং তা যথাযথ ভাবে সুফল দিয়েছে। এই কথা জেনে আমি আনন্দিত। সচেতনতা গড়ে, তোলা খুবই জরুরি বিশেষ করে যখন দেখতে পাচ্ছি যে, বিশ্বের বহু দেশের মানুষ এখনও অতিমারীর বিরুদ্ধে কোনও প্রতিরোধ গড়ে তুলছেন না।’