গতকালই পুরভোটের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে তৃণমূল। প্রত্যাশামতো এবার অনেকেই তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় স্থান পাননি। বহু গুরুত্বপূর্ণ নেতার পরিজনদের বাদ দেওয়া হয়েছে এই প্রার্থী তালিকা থেকে। তানিয়ে ইতিমধ্যেই ক্ষুব্ধ একাধিক নেতা নেত্রী। দীর্ঘদিন ধরে দলের সঙ্গে যুক্ত থাকা বর্ষীয়ান নেতা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের পুত্র সায়নদেব চট্টোপাধ্যায়কেও এবার পুরভোটে প্রার্থী করা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছিল। কিন্তু, প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পরেই সেই জল্পনার অবসান ঘটে। দলের নেত্রীর এই সিদ্ধান্তে একেবারে যে সন্তুষ্ট নন, তা হাবেভাবে বুঝিয়ে দিয়েছেন বলে শোভন-পুত্র।পুরভোটে প্রার্থী ঘোষণার পরেই সায়নদেব টুইট করেন, 'আত্মত্যাগ করার আগে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, আত্মহত্যা করার পর বলা হল, এখনও সময় হয়নি।' তাঁর আরও সংযোজন, ' নিজের সময় আসা পর্যন্ত যে অন্যদের জন্য হাততালি দিয়ে যেতে হয় তা শিখলাম।' শোভন-পুত্রের এইরকম টুইটকে ঘিরে রীতিমতো জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় 'এক ব্যক্তি একপদ' নীতি চালু করেছেন। তারপরেও প্রার্থী করা হয়েছে বেশ কয়েকজন বিধায়ককে। যে তালিকায় রয়েছেন ফিরহাদ হাকিম, দেবাশিষ কুমাররা। প্রার্থী তালিকায় রয়েছেন তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রীদের পরিজনদের অনেকেই। তার মধ্যে রয়েছেন তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের ছেলে সৌরভ বসু, রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজার মেয়ে পূজারা। দলের অনেকেই মনে করছিলেন ভবানীপুর আসন থেকে জয়লাভের পরেও শুধুমাত্র মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য নিজের আসন ছেড়ে দিয়েছিলেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। রাজনৈতিক মহলের জল্পনাকে তাঁর সেই ত্যাগের ফলস্বরূপ তাঁর পুত্রকে প্রার্থী তালিকায় রাখা হবে। কিন্তু প্রার্থী তালিকা থেকে জায়গা হয়নি শোভন-পুত্রের।