ওয়ার্মারে তাপ বেড়ে লাল হয়ে গেল সদ্যোজাতের দেহ। কাঠগড়ায় ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতাল। এই ঘটনায় হাসপাতালের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। অভিযোগ, ১০ দিনের এক সদ্যোজাত চিকিৎসায় গাফিলতির জেরে ওয়ার্মারে ঝলসে গিয়েছে। ঘটনা ঘিরে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে হাসপাতাল চত্বরে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, আপাতত সুস্থ রয়েছে ওই সদ্যোজাত। কিন্তু পরিবারের অভিযোগ, ওয়ার্মারের তাপমাত্রা যে এত বেশি হয়ে গিয়েছে, তা কেন কেউ টের পেলেন না? পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, কৃত্রিম উপায় তাপ দিতে ওই সদ্যেজাতকে নিওনাটাল ওয়ার্ডের ওয়ার্মারে রাখা হয়েছিল। কিন্তু তাপ বেড়ে শিশুটির দেহ প্রায় ঝলসে গিয়েছে বলে অভিযোগ তাঁদের। শিশুটির পরিবার সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, গত ২৯ জুন বারুইপুরের একটি হাসপাতালে ভূমিষ্ঠ হয়। জন্মের পর থেকেই অসুস্থ ছিল সে। চিকিৎসকরা তার শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানতে পারেন জন্ডিসে ভুগছে ওই শিশু। বারুইপুরের ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শিশুটির পরিবারকে জানিয়ে দেয়, তাদের হাসপাতালে এই ধরনের রোগের চিকিৎসার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই।তারপর ওই শিশুকে ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে ভরতি করেন তার পরিবার। তারপর থেকে সেখানেই চিকিৎসা চলছিল তার। শিশুটিকে ওয়ার্মারে রেখে চিকিৎসা করা হচ্ছিল। শুক্রবার দুপুরে আচমকাই শিশুর মা লক্ষ্য করেন যে, বাচ্চার শরীরে একাধিক জায়গায় লাল হয়ে গিয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে তিনি চিৎকার করতে শুরু করেন। তখনই হাসপাতালের কর্তব্যরত নার্সরা ছুটে এসে ওই শিশুকে ওয়ার্মার থেকে বার করে অন্য বেডে সরিয়ে দেন। তারপরে তার চিকিৎসা চলায় আপাতত সুস্থ রয়েছে শিশু। মহিলার দাবি, ওয়ার্ডের ওয়ার্মারে যে কৃত্রিম আলোর মাধ্যমে দেওয়া হয়, তার মধ্যে কিছু যান্ত্রিক ত্রুটি থাকার কারণে এই বিপত্তি ঘটেছে বলে হাসপাতালের তরফে দাবি করা হয়েছে। শিশুটিকে নিয়ে উদ্বেগে রয়েছে তার পরিবার। এখন শিশুটির মা তার সঙ্গে রয়েছে। তবে হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, শিশুটির শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীলই রয়েছে। উল্লেখ্য, এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও লিখিত অভিযোগ জানায়নি পরিবার। লিখিত অভিযোগ পেলেই তদন্ত শুরু করা হবে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল।