বিধানসভার ইতিহাসে বেনজির দৃশ্য। শাসক–বিরোধী দু’জনেই চোর। এমনই স্লোগান শোনা গেল বিধানসভার লবিতে। তবে এটা বোধহয় প্রথম। যেখানে একই সময়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দু’জনেই নিজেদের দলের বিক্ষোভ সমাবেশে সামিল হলেন। যেখানের দূরত্ব মাত্র কয়েক ফুটের। আর এই বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে পরস্পর পরস্পকে ‘চোর চোর’ বলে স্লোগান দিচ্ছেন। দুর্নীতি বনাম বঞ্চনা—পৃথক অভিযোগে তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপির চোর, চোর স্লোগানে তেতে উঠল গোধূলি বেলার বিধানসভা🤡 চত্বর।
একদিকে তৃণমূল কংগ্🍨রেসের নেতৃত্বে খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্লোগান তুলে আক্রমণ শানান। অপরদিকে বিজেপির নেতৃত্বে স্লোগান তোলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। গলা বসে গিয়েছিল বলে আজ অমিত শাহের মঞ্চে ভাল করে বক্তব্য রাখতে পারেননি শুভেন্দু অধিকারী। আর ধর্মতলার সভা শেষ করে বিধানসভায় পৌঁছে মীন কণ্ঠস্বরেই চোর চোর স্লোগান তোলেন। তাঁর সঙ্গে বিধানসভার সিঁড়িতে বসে গলা মেলান বিজেপির বাকি বিধায়করা। বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরা যখন প্যান করছে তখন শাসক–বিরোধী দুই শিবির থেকেই চোর চোর স্লোগান শোনা যায়। যা বেশ চাপের।
এদিকে শুভেন্দু অধিকারী বিধানসভায় এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দেশ্য করে তোলেন চোর স্লোগান। পালটা শুভেন্দু ও শিশির অধিকারীকে আক্রমণ করে তৃণমূল কংগ্রেস তোলে চোর স্লোগান। বাদ যাননি মোদী–শাহও। এই আবহে উত্তাল হয়ে উঠল বিধানসভা চত্বর। এমনকী শুভেন্দু ও বিজেপিকে অসভ্য বলে কটাক্ষ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলার মানুষের প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনার প্রতিবাদে আজ, বুধবার কালো পোশাক পরে বিধানসভায় এসেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের বি✨ধায়করা। আম্বেদকর মূর্তির পাদদেশে ধরনায় বসেছিলেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: ‘উনি পুরন🎉ো চিরকুট নিয়ে এসেছিলেন’, শাহের সভা সুপারফ্লপের ব্য♉াখ্যা দিলেন কুণাল
অন্যদিকে বিজেপি বিধায়করা শুভেন্দুর নেতৃত্বে চোর চোর স্লোগান তোলেন। পাল্টা মোদী–শাহর নামে চোর স্লোগান শুরু করে তৃণমূল কংগ্রেস। আওয়াজ আগের তুলনায় দ্বিগুণ বেড়ে যায়। শুরুতে স্লোগান তোলেন কলকাতার মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিম। এরপর অরূপ বিশ্বাস, অসীমা পাত্ররা স্লোগান তুলে বলেন, ‘মোদী–অমিত দুটোই চোর।’ একইসঙ্গে এই স্লোগানও তুলতে শোনা যায়—‘বাবা চোর, ছেলে চোর’। তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপি যখন পরস্পরকে চোর বলছে, তখন দেখা যায় পথচলতি অনেক মানুষ বিধানসভার পাঁচিলের পাশে দাঁড়িয়ে বেনজির দৃশ্য দেখছেন। এই আবহে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমরা একটা পরম্পরা মেনে চলি। অনুমতি দিলে অন্য কারও কর্মসূচিতে আমরা বাধা দিই না। কাজেই যারা পাত্তা পায়নি তারা এখানে এসেছে। ওরা হেরো পার্টির দল। ওদের মিটিং ফ্লপ হয়েꦓছে বলে এখানে এসে অসভ্যতা করছে। ওরা শিষ্টাচার মানে না। আমি স্পিকারকে বলব গোটা বিষয়টা দেখতে। ওরা ২০২৪ এও আসবে না, ২০২৬ এও আসবে না।’