আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি প꧅শ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় শুরু হতে চলেছে বাজেট অধিবেশন। এই অধিবেশন ১৭ তারিখ পর্যন্ত চলার কথা রয়েছে। আর তা নিয়ে প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। কারণ মাসের প্রায় অর্ধেক হয়েই গিয়েছে। তাই বিষয়টি নিয়ে তোড়জোড় শুরু করা জরুরি। রাজ্য বাজেট পেশ করা হবে এই পর্বে। তবে ২০২৪ নতুন বছরের প্রথম অধিবেশন শুরু হবে রাজ্যপালের ভাষণ দিয়ে। অধিবেশন শুরুতেই রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ভাষণ দেবেন। সেখানে রাজ্য সরকারের কর্মকাণ্ড এবং আগামী পরিকল্পনার কথা উঠে আসে রাজ্যপালের বক্তব্যে। কিন্তু এবার রাজ্যপালের বক্তব্যের দিকܫে তাকিয়ে রয়েছে সবাই।
এদিকে বিধানসভার অধিবেশন শেষ হওয়ার পর সম্ভবত লোকসভা নির্বাচনের কথা ঘোষণা হতে পারে। ইতিমধ্যেই নানা ইস্যুতে রাজ্যপাল বনাম রাজ্য সরকারের সংঘাত চরমে উঠেছে। বিরোধীরা বারবার রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালকে নানা নালিশ করে এসেছেন। তার উপর সম্প্রতি সন্দেশখালির ঘটনায় রাজ্যপালকে কড়া কথা বলতে শোনা গিয়েছে। বিরোধী দল বিজেপি এই ইস্যুতে বিধানসভার অধিব🐟েশন তপ্ত করার পরিকল্পনা নিয়েছে। যদিও শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস এখন থেকেই সমস্ত জবাব তৈরি রাখছে। সুতরাং সন্দেশখালির ইস্যুতে বিজেপি গলা ফাটাꦿতে চাইছে বিধানসভায়। তার পর দেখার জল কতদূর গড়ায়।
অন্যদিকে সাম্প্রতিক একাধিক ঘটনায় রাজ্যের সঙ্গে রাজ্যপালের সংঘাত চরম আকার নিয়েছিল। নানা বিল, উপাচার্য নিয়োগ, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা, পঞ্চায়েত নির্বাচন এবং সর্বশেষ সন্দেশখালি🉐 ইস্যু। রাজ্যের সঙ্গে রাজভবনের সংঘাত বেধেছিল। রাজ্যপালের কাজ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলাও হয়। সেখানে রাজ্যপালকে কড়া কথা শোনায় সর্বোচ্চ আদালত। তাছাড়া নানা ইস্যুতে রাজ্যের সমালোচনা করেছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সন্দেশখালির ঘটনায় প্রকাশ্যেই মন্তব্য করেছেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেসের পাল্টা 🔜বক্তব্য, রাজ্যে নির্বাচিত সরকার রয়েছে। সরকারের কাজে বাধার সৃষ্টি করছে রাজভবন।
আরও পড়ুন: চোরকে গ্রেফতার করে জেরা পুলিশের, এমএ পাশ–আইনের ডিগ্রির কথা শুনে স✨্তম্ভ🎶িত তদন্তকারীরা
এই আবহে রাজ্যপালের বক্তব্যে কি উঠে আসে সেটাই দেখতে চাইছেন সকলে। যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ, রাজভবনকে পার্টি অফিসে পরিণত করেছে বিজেপি। আবার বিজেপির অভিযোগ, রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা নেই। য𒀰দিও এনসিআরবি রিপোর্টে কলকাতাকে সবচেয়ে নিরাপদ শহর বলা হয়েছে। এই অবস্থায় বিধানসভায় রাজ্যপালের বক্তব্যের দিকেই নজর সকলের। বিধানসভা অধিবেশনের শুরুতে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস রাজ্যের সম্পর্কে কোন শব্দ ব্যবহার করেন সেটা নিয়েও কৌতূহল তৈরি হয়েছে। এমনকী এবার রাজ্যপাল যখন বিধানসভায় ভাষণ দেবেন তখন বিজেপি বিধায়কদের আচরণ লক্ষ্য রাখবেন সকলে।