কৃষকদের সাহায্য করতে রাজ্যে চালু আছে কৃষকবন্ধু প্রকল্প। যে প্রকল্পের মাধ্যমে টাকা পান কৃষকরা। তাছাড়া কৃষকদের সাহায্য করার জন্য সরকারিভাবে প্রত্যেক বছরই ধান কেনা হয়। যাতে ধান পচে না যায়। কৃষকরা যেন দাম পান এবং মধ্যস্বত্বকারীরা ওই ধান কৃষকদের থেকে অল্প দামে কিনে চড়া দামে বিক্রি করতে না পারে। কালোবাজারি রুখতে এই পদক্ষেপ করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। তাই বিকল্প পথ বের করে কারচুপি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। কৃষকদের ঠকাতে ওই ধান কেনার ক্ষেত্রেই বড় কারচু꧅পির অভিযোগ তুললেন মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘির বিধায়ক বায়রণ বিশ্বাস। আজ বৃহস্পতিবার বিধানসভায় এই অভিযোগ তোলেন তিনি।
বায়রণ বিশ্বাস কংগ্রেসের টিকিটে জয়ী হলেও পরে তৃণমূল কংগ্রেসে 𝓰যোগ দেন। আর আজ বিধানসভায় ধান কেনায় কারচুপির অভিযোগ তুলে তা জানান স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আজ বৃহস্পতিবার এই সরকারিভাবে ধান কেনার ক্ষেত্রে কারচুপি হওয়ার বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীর নজরে আনেন বিধায়ক বায়রণ বিশ্বাস। বায়রণ এই তথ্য তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রীর হাতে। তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানস𝓰ভায় নিজের কক্ষে বসে কথা বলছিলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের সঙ্গে। এই অভিযোগ শোনার পরই মুখ্যসচিবকে পুরো ঘটনা তদন্ত দ্রুত করে দেখার নির্দেশ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কাউকে রেয়াত করা যেন না হয় তাও বলেছেন বলে সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন: ‘আগে শোকজের জবাব দাও’, বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর কক্ষে পা রাখতেই হুমায়ুনকে কড়া ধমক
সরকারিভাবে ধান কেনার ক্ষেত্রে নিয়ম আছে। সেই নিয়ম মানা হচ্ছে না বলেই বায়রণ বিশ্বাসের অভিযোগ। তার জেরে ঠকছেন বাংলার কৃষকরা। এই কথা শোনার পর আজ মুখ্যসচিবকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারি ধান বিক্রি করার ক্ষেত্রে কারচুপির 🐓ঘটনায় যদি কোনও বিডিওর বিরুদ্ধেও অভিযোগ ওঠে, তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধেও যেন তদন্ত করা হয়। প্রশাসনিক কর্তা বলে কাউকে যেন আড়াল করা না হয়।’ এই কথা বলেছেন বলে জানা গিয়েছে। সাগরদিঘি–♔সহ নানা জেলা থেকে এই অভিযোগ বিধায়কের কাছে এসেছে বলে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ করেন বায়রণ। তখনই মুখ্যসচিবকে তদন্তের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।
এখন প্রত্যেক জেলায় কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনা শুরু করেছে রাজ্য সরকার। আর সেই ধানের মধ্যে ধুলো, বালি, কাঠি ভরে দেওয়া হচ্ছে। তাই কুইন্ট্যাল পিছু ধান থেকে ৩ কেজি করে বাদ দিতে হচ্ছে। আজ মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সাগরদিঘির বিধায়ক বায়রণ অভিযোগ করেন, ‘সরকারি নিয়ম রয়েছে ৩ কেজি ধান কাটার। সেখানে ৫ কেজি করে কাটা হচ্ছে। তার জেরে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।’ এই কথা শোনার পর মুখ্যসচিবকে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, সরকারি ধান কেনা ও বিক্রিতে কারচুপির ঘটনায়💜 যদি কোনও বিডিওর বিরুদ্ধেও অভিযোগ ওঠে তাঁদের বিরুদ্ধেও যেন তদন্ত𓄧 হয়।