আজ, মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে রাজ্যে বিশ্ববঙᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚ্গ বাণিজ্য সম্মেলন। আর সেই বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের শুরুতেই নিউটাউনের বিশ্ববাংলা কনভেনশন সেন্টারে বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলার জিডিপি বেড়েছে বলে দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী। আর এখানে বিনিয়োগ করতে শিল্পপতিদের বার্তা দেন তিনি। এখানে উপস্থিত ছিলেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তের একাধিক শিল্পপতিরা। মূলত ফিকি এবং সিআইআই–এর আলোচনা সভা আয়োজিত হয় নিউটাউনের বিশ্ববাংলা কনভেনশন সেন্টারে। রাজ্যে বিনিয়োগের আহ্বান জানান শিল্পপতিদের সামনে।
রাজ্যে এখন বিনিয়োগের পরিবেশ রয়েছে বলে বার্তাও দেন মুখ্𝓰যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই তিনি বলেন, ‘আমি বিভেদ পছন্দ করি না। এখানে কোনও বিভেদ নেই। আমরা স্বামী বিবেকানন্দের নীতি নিয়ে চলি। যদি আপনি মনে করেন আপনি দুর্বল তাহলে দুর্বল হবেন। আর যদি মনে করেন আপনি শক্তিশালী তাহলে শক্তিশালী। চিত্ত যেথা ভয়শূন্য উচ্চ যেথা শির—কবিগুরুর এই কথাকে পাথেয় করি চলি। এখানে মহিলাদের জন্য সমস্ত সামাজিক প্রকল্প করেছি। তার সঙ্গে রয়েছে কন্যাশ্রী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্বাস্থ্যসাথী। তাই আসুন এখানে বিনিয়োগ করুন।’
এবারের বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকেই বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে রাজ্য সরকার। এবারের বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে কর্মসংস্থানকে পাখির চোখ করা হয়েছে। তাই মুখ্যমন্ত্রী শিল্পপতিদের বলেন, ‘বাংলাকে নিজের আপন বাড়ি ভাবুন, সুখের ঘর ভাবুন। কারণ এখানে আমরা বহু বিষয়ে এক নম্বরে রয়েছি। ᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚক্ষুদ্র ও ছোট শিল্পে এক নম্বরে আছি। মহিলাদের ক্ষমতায়নে এক নম্বরে রয়েছি। সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা বিনামূল্যে দিই। বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঁচ লাখ টাকার কার্ড দেওয়া হয়েছে। যার প্রিমিয়াম দিতে হয় না। এখানে কোনও সাম্প্রদায়িকতা নেই। এখানে স্থায়ী সরকার আছে। ছেলে–মেয়েদের উচ্চশিক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে। এখানে কর্মসংস্থানের প্রয়োজন। তাই এখানে জমি নিন আর শিল্প গড়ে তুলুন।’
রাজ্যে কোন কোন জেলায় কী পরিমানে ল্যান🅰্ড ব্যাংক আছে তা তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। এখানে ফ্রিহোল্ড জমি আছে। তা নিয়ে শিল্প করতে বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, ‘এখানে তাজপুর বন্দর তৈরি হচ্ছে। এখানে দৈউচা পাচামি তৈ🌼রি হচ্ছে। এখানে সিলিকন ভ্যালি গড়ে উঠেছে। যেখানে আইটি শিল্প গড়ে উঠছে। বানতলা চামড়া কমপ্লেক্স গড়ে উঠেছে। এখানে স্কিল রয়েছে। মেধা রয়েছে। এখানে কোনও বিদ্যুতের সমস্যা নেই। ২০২৩ সালের মধ্যে গ্যাস তৈরির কাজ হবে। এটা বড় গেম চেঞ্জার।’
এই সম্মেলনে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের পাশাপাশি কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পর্যটনেও বড় সাফল্য পেয়েছে। তাই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ইউনেস্কো বাংলাকে সংস্কৃতির জন্য স্বীকৃতি দিয়েছে। এখানে উত্তরবঙ্গে একাধিক চা বাগান আছে। এখা𒅌নে যদি ব্যবসার পরিবেশ না থাকত, লাভ যদি না হতো তাহলে এতকিছু আমরা করলাম কেমন করে। বাংলাকে হিংসার জায়গা হিসাবে দেখানো হয়। এটা একটা রাজনৈতিক দলের অপপ্রচার। এখানে এসে ব্যবসা করুন। এখানে পরিবেশ আছে। এখানে কর্মসংস্থান গড়ে উঠছে। আসুন আমরা বাংলাকে এগিয়ে নিয়ে যাই।’