আজ, বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার একঝাঁক শিল্পপতি এবং বিশিওষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে চাঁদের হাট বসে নিউটাউনে। আর এই বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের মঞ্চেই কেন্দ্রীয় বঞ্চনার কথা তুলে ধরলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টারে বাংলার একতা, ঐক্য, সম্প্রীতি তুলে ধরলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই রাজ্যে প্রতিটি ভাষাভাষির মানুষ এবং প্রতিটি ধর্মের মানুষ খুশিতে একসঙ্গে বেঁচে থাকেন। কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বারবার বঞ্চনার অভিযোগে সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের মঞ্চ থেকে আবার একই অভিযোগ▨ে সুর শোনা গেল।
এদিন ২০১১ সালের আগে বাম জমানায় বাংলায় শিল্পস্থাপনের জন্য ছিল না কোনও ল্যান্ড ব্যাঙ্ক বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। এদিন নিজের বক্তব্যে মুখ্যমন্ত্রী জানান, এই মুহূর্তে শুধু ল্যান্ড ব্যাঙ্কই নয়, রাজ্যের পক্ষ থেকে গড়ে তোলা হয়েছে চারটি বাণিজ্যিক অর্থনৈতিক অঞ্চলও। তাই আজ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলায় স্থায়ী সরকার আছে। শক্তিশালী অর্থনৈতিক অঞ্চল আছে। শিল্প স্থাপনের অনুকুল পরিবেশও আছে। তাই ১৭টি দেশ বাংলার সঙ্গে পার্টনারশিপে এগিয়ে এসেছে।🦂 যদি পারেন দেখুন, পর্যাপ্ত আর্থিক সহযোগিতা না পেয়েও আমরা কতটা উন্নতি করেছি।’ এই আর্থিক সহযোগিতা যে কেন্দ্রীয় সরকারের থেকে মেলেনি সেটা কৌশলে বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি। আবার নাম করেও বঞ্চনার কথা তুলে ধরেন।
এদিকে বাংলার পরিবেশ, আইনশৃঙ্খলা থেকে শুরু করে সংস্কৃতির কথা তুলে ধরেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন মুখ্যমন্ত্রী ভরা সম্মেলনে অভিযোগ করেন, ‘অনেকে বলেন বাংলায় নাকি শুধুই হিংসা হয়। ব্যবসা হয় না। অনেকে বলেন বাংলা হিংসাপূর্ণ। অনেকে গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করে। হিংসা নিয়ে কিছু রাজনৈতিক দল অপপ্রচার ছড়ানোর চেষ্টা করছে। এটা সত্যি হলে আমরা এত কাজ কি করতে পারতাম? এখানে কোনও ভেদাভেদ নেই। 𝔍বাংলা খুব মিষ্টি জায়গা। এখানকার ভাষা যেমন মিষ্টি তেমনই এখানকার আতিথেয়তাও যথেষ্ট সুন্দর। দুর্গাপুজো এই রাজ্যে ধুমধাম করে পালন করা হয়। তেমনভাবেই পালিত হয় ক্রিস্টমাস।’
আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর পরনে🍸 ওয়েস্ট কোট, বাণিজ্য সম্মেলনে নজর কাড়লেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনার কথা তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এটা বলতে তাঁর দুঃখ লাগলেও বলতে বাধ্য হচ্ছেন। তাঁর কথায়, ‘এখন ভারতে একটাই কর জিএসটি। রাজ্য কর আদায় করতে পারে না। শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় সরকার কর আদায় করে এবং আমাদের ভাগ দেয়। তবেꦕ সেটাও, আমি দুঃখিত, এসব বলা উচিত নয়। আমাকে ক্ষমা করবেন। আমরা আমাদের ভাগ পাচ্ছি না। এমনকী গরিব শ্রমিক, যাঁরা একশোর দিনের প্রকল্পের কাজ করেছিল, তাদের বেতন দেওয়া হচ্ছে না। সামাজিক সেক্টরের ক্ষেত্রে আমরা বাংলা টপ অফ দি টপ। আমি আমার বাংলার মানুষকে আরও অনেক বেশি স্বাস্থ্যবান দেখ♎তে চাই। কর্মসংস্থান এখন আমাদের প্রাইম লক্ষ্য। আমাদের রাজ্যে এখন ৯০ লক্ষ এমএসএমই ইউনিট আছে যা সারা দেশে সর্বাধিক। আমাদের প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক সম্পদ রয়েছে। একটি স্থায়ী সরকার এবং রাজ্যে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রয়েছে। শিল্পস্থাপনের অনুকুল পরিবেশ রয়েছে।’