ধর্মতলার সভা থেক🔯ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে উৎখাত করার ডাক দিলেন। আর ঠিক তখনই বিধানসভায় বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের ১০০ দিনের কাজের টাকা থেকে শুরু করে ‘বকেয়া’ টাকা দেওয়ার দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী। এমনকী তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ইডি–সিবিআই দিয়ে হেনস্থার অভিযোগ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ মুখ্যমন্ত্রী কালোᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚ পাড়ের শাড়ি পরে বিধানসভায় আসেন।
এদিন তৃণমূল কংগ্রেসের সব বিধায়ক–মন্ত্রীরা কালো পোশাক পরে বিধানসভায় আসেন। এটা প্রতিবাদস্বরূপ করা হয়েছে। আর আজ, বুধবার বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির বিধায়কদের উদ্দেশে বলেন, ‘দিনের পর দিন বিধায়কদের তহবিলে টাকা বাড়ানো হয়। তখন তো বলেন না? রাজ্যের ২১ লক্ষ মানুষের টাকা আটকে রাখা হয়েছে। অনেকের💟 কোটি কোটি টাকা আছে, যাঁদের দরকার নেই। ২১ লক্ষ মানুষের টাকা আটকে রাখা হয়েছে। তখন তো আপনাদের মন কাঁদে না। আর একটার বদলে দুটি বিড়ি খেলে চোর বলে!’ গতকাল বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে শীতকালীন অধিবেশন থেকে সাসপেন্ড করেন। আজ ধর্মতলার সভা থেকে অমিত শাহ তার প্রতিবাদ করেন।
এদিকে শুভেন্দু অধিকারীরা যখন তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে আক্রমণ শানান, তখন বিধানসভার ভিতরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যে উঠে এসেছে ‘কেন্দ্রীয় বঞ্চনা’ ও ‘প্রতিহিংসার রাজনীতি’ করার অভিযোগ। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘বিজেপি সব কিনে নিয়েছে। ১০০ দিনের কাজ। আবাস যোজনা, রাস্তার কাজের টাকা দেয়নি। জিএসটির নামে কর তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। মাছের তেলে মাছ ভাজা হচ্ছে। ভোটের সময় এবং ভোটের পরে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে দল পাঠায় ♌বিজেপি। তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়কদের বাড়িতে ইডি–সিবিআই পাঠানো হচ্ছে।’ তবে ২০২৪ সালে কত আসন দরকার সেটা আজ জোর গলায় বলতে পারেননি অমিত শাহ।
আরও পড়ুন: জামিন পꦓেলেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি, কল্যাণময়কে মানতে হবে একাধিক শর্ত
অন্যদিকে ধর্মতলার বুকে দাঁড়িয়ে একের পর এক তোপ দাগেন অমিত শাহ। এই দুর্নীতির সরকার বাংলার ভাল করতে পারে না বলে দাবি করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। আর বিধানসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাল্টা অভিযোগ তোলেন, ‘আমি জীবন্ত মা দুর্গ🗹া সাজলে কেউ গ্রহণ করবে না। সব দলেই ভাল–খারাপ আছে। সিপিএম বা বিজেপি থেকে আসা লোক অন্যায় করতে পারে। ব্যবস্থা নিয়েছি। আর কৃষ্ণ কল্যাণী, তন্ময় ঘোষকে হুমকি দিয়ে বলেছে তোমার বাড়িতে ইডি যাবে। চলে গেল! কে কোথায় টাকা রাখছে, খোঁজ রাখছি। দিল্লিতে ক্ষমতায় আছে। তাই ইডি–সিবিআইয়ের ব্যবহার হবে। তোমরা যখন ক্ষমতায় থাকবে না, তখন মানুষের উপর অত্যাচারের কড়ায়–গন্ডায় হিসেব হবে।’