আজ, বৃহস্পতিবার 𒁃আবারও নবান্নে বৈঠকে বসে সুর চড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী। জেলাশাসক থেকে শুরু করে মন্ত্রী, আমলা, পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারা সকলেই শুনলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা। আজকের রিপোর্ট কার্ডেও খারাপ বিষয়গুলি যে রয়েছে সেটা বুঝিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী পুলিশ–নেতামন্ত্রীদের। বুলডোজার দিয়ে এখন ভেঙে ফেলা হচ্ছে শহরে জবরদখল করে হকারি করার জায়গা। তা নিয়ে আবার পুলিশ ও প্রশাসনকে কড়া বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজেরাই বসাবেন, নিজেরাই তুলবেন সেটা হওয়ার জো নেই। নেতা–পুলিশকে লোভ সংবরণ করতে বললেন মুখ্যমন্ত্রী। যা এখন চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে।
এদিকে আজ নবান্নে আবার প্রশাসনিক বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে হকার উচ্ছেদ অভিযান নিয়ে পুলিশ এবং প্রশাসনকে তীব্র ভর্ৎসনা করেন তিনি। পুলিশ ও নেতাদের উদ্দেশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, ‘প্রথমে টাকা খেয়ে দোকান বসাবেন, আর তারপর বুলডোজার দিয়ে ভাঙবে🍨ন? একদম বরদাস্ত করছি না। হাতিবাগানের রাস্তা দখল হয়ে গিয়েছে। এতে আমাদের কাউন্সিলরদেরও অনেক দোষ আছে। তাঁরা ভাবছেন, দিয়ে দিলাম। আর মাসে চাঁদা প🔯েলাম। ব্যস হয়ে গেল। এটা চলবে না। ডাল–ভাত–মাছ–তরকারি খেয়ে কি সন্তুষ্ট থাকা যাচ্ছে না? এখন তো কারও বাড়িতে গেলে মিষ্টিও নিয়ে যাওয়া হয় না। ডায়বিটিস না হয়ে যায়। বাঁচার জন্য কতটুকু লাগে? বাঁচার জন্য যতটুকু প্রয়োজন, ঠিক ততটুকু কাজে লাগান। তার বেশি নয়। বেশি লোভ ভাল নয়। লোভ সংবরণ করুন।’
অন্যদিকে নেতাদের পাশাপাশি পুলিশকেও কড়া বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী। আগের বৈঠকেও দিয়েছিলেন। এবারও দিলেন। আসলജে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সরাসরি জনগণ অভিযোগ জানিয়ে দিচ্ছেন। ফলে বিপদে পড়ছেন নেতা–মন্ত্রী–কাউন্সিলর থেকে পুলিশও। পুলিশমন্ত্রী নিজেই পুলিশকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে বললেন, ‘যে যাঁর মতো লুঠে নিচ্ছে। যেন লুঠ আমার অধিকার। পুলিশের মধ্যে দেখছি লোভ বেড়ে যাচ্ছে। ভাবছে আমি তো দু’বছর ওসি আছি। যতটা পারি করে নিই। এবার থেকে এসিপি স্ট্রং করতে হবে। যদি কোনও পুলিশ ইন্ধন দেয় সরিয়ে দেব। সরকার কিন্তু এটা করতে পারে। প্রথম থেকেই কড়া হতে হবে। যে কাউন্সিলরের এলাকায় এটা হবে, যে নেতার এলাকায় হবে, তিনি গ্র🧔েফতার হবেন। ডাবগ্রামে জেলা সভাপতিকে গ্রেফতার করিয়েছি। সরকারের জমি নিয়ে ২–৩ লক্ষ টাকায় বিক্রি করে দেওয়া চলবে না।’
আরও পড়ুন: ‘রাজভবඣনের যা কীর্তি, মেয়েরা যেতে ভয় পাচ্ছেন’, শপথ নিয়ে রাজ্যপালকে নিশানা মমতার
এছাড়া যেখান থেকে জবরদখল তোলা হয়েছে সেখানে আবার যাতে হকার না বসে তা লক্ষ্য রাখতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। জবরদখল উদ্ধার অভিযানে যেভাবে পুলিশ, পুরসভা নেমে কাজ করেছে তাতে এখন সবাই আতঙ্কিত। তাই একমাস সময় দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হকারদের। তাঁর কথায়, ‘বলছি না হকারদের সরিয়ে দেওয়া হোক। একটা নির্দিষ্ট জোন করা হোক। বেআইꦜনি কিছু হলে পুলিশ, ডিএম কাউকে ছাড়া হবে না। পুলিশ, হকার নেতারা গরিব হকারদের কাছে থেকে চাঁদা তুলবেন না। গড়িয়াহাটে তো হাঁটারই জায়গা নেই! হকার জোনের পাশে কোনও বিল্ডিংয়ে অগ্নিনির্বাপণের ব্যবস্থা রাখা হোক। দিঘা, মুকুটমণিপুরে হকার তুলে দেওয়া হয়েছে। আর যেন নতুন করে না বসে🔥 সেটা জেলাশাসককে দেখতে হবে। কোনও নেতা যদি ইন্ধন দেন, তাঁকে গ্রেফতার করবেন।’