এখন কেন্দ্রীয় সরকারের বৈষম্য এবং বাংলাকে বঞ্চনার প্রতিবাদে রেড রোডে ধরনায় বসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই মঞ্চের পিছনেই দুটি অস্থায়ী অফিস করা হয়েছে। একটি সাংগঠনিক বৈঠকের জন্য। দ্বিতীয়টি প্রশাসনিক কাজ করার জন্য। এখান থেকেই (প্রথমটি) লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি বৈঠক শুরু করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে কিছুতেই বকেয়া আদায় করা যাচ্ছে না। তারই প্রতিবাদে ধরনায় বসেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ধরনার ফাঁকেই পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেন দলনেত্রী। আর দুই বর্ধমানের জন্য একটি কোর𝓀 কমিটি তৈরি করে দেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিকে তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে খবর, এই কোর কমিটি তৈরি করে দিয়ে সেই কমিটিতে বিশেষ দায়িত্ব দিয়েছেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্🌳বাসকে। কৃষ্ণনগর, পশ্চিম মেদিনীপুর, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম জেলাগুলিতে লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি শু🉐রু হয়ে গিয়েছে তৃণমূলনেত্রীর নির্দেশেই। কোর কমিটিও তৈরি হয়েছে। এবার দুই বর্ধমানের ক্ষেত্রেও তাই করা হল। এই কোর কমিটির মধ্যে রয়েছেন, রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার, প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ এবং পশ্চিম বর্ধমানের জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। আসানসোল লোকসভা কেন্দ্র থেকে শত্রুঘ্ন সিনহাকে ফের প্রার্থী করার কথা ঠিক হয়েছে।
অন্যদিকে সূত্রের খবর, বিভিন্ন কর্মিসভা থেকে শুরু করে সাংগঠনিক বৈঠকে যোগ দিয়ে এবার লোকসভা নির্বাচনের প্রার্থী ঠিক করা হবে🙈। তাতে সংগঠন কতটা মজবুত অবস্থায় রয়েছে যেমন জানা যাবে তেমনি প্রার্থী নিয়ে মতভেদ থাকলে সেটা নিয়ে মীমাংশা করিয়ে দেওয়া যাবে। উত্তর থেকে দক্ষিণবঙ্গ— প্রায় সব জেলাতেই এই ব্যবস্থা দেখা যাবে। এখন প্রত্যেকটি জেলায় ‘চেয়ারম্যান’ পদে নেতারা আছেন। এখন মুর্শিদাবাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী এবং পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে। অরূপ বিশ্বাস থেকে শুরু করে মলয় ঘটক এবং আরও অনেকে দায়িত্ব পাচ্ছেন। আসলে একটি আসনও যাতে হাতছাড়া না হয় সেদিকেই💎 লক্ষ্য রেখেই এই পদক্ষেপ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: আবার আসানসোলে প্রার্থী হচ্ছেন শত্রুঘ্ন সিনহা, দলীয় নেতাদের ꦏজানালেন তৃণমূল সুপ্রিমো
এছাড়া কিছু জেলার প্রার্থী ঠিক করা বাকি থাকবে। সেটা দলীয় স্তরে আলোচনা সেরে নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে ৪২টি আসনের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হবে। এবার🐷 বেশ কয়েকটি লোকসভা আসনে প্রার্থী পরিবর্তন করা হবে বলে তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে খবর। আবার সিটিং এমপি যাঁরা ভাল কাজ করেছেন এবং ভাবমূর্তি সুন্দর তাঁদের প্রার্থী করা হবেই। তাই আগাম জেলার চিত্র জেনে নিচ্ছেন তৃণমূল সুপ্রিমো এবং কোর কমিটি তৈরি করে সংগঠনকে প্রস্তুতির জায়গায় পৌঁছে দিচ্ছেন। তাঁর মূল লড়াই বিজেপির বিরুদ্ধে। সেখানে বাকি দল কি করল সেটাতে আমল দিতে নারাজ তিনি। বীরভূম জেলাতেও সংগঠনের দায়িত্বে রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরই তৈরি করে দেওয়া পাঁচ সদস্যের কোর কমিটি।