বামফ্রন্ট সরকারের শেষ মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের জীবনাবসান। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। ২০০০ থেকে ২০১১ সাল পর💫্যন্ত টানা ১১ বছর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। আজ, বৃহস্পতিবার সকালে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের মৃত্যুর খবরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে রাজনৈতিক মহলে। এই ঘটনায় নিজের এক্স হ্যান্ডেলে শোকবার্তা দিয়েই ছুটে চলে যান বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের বাড়িতে। ঘোষণা করে দেন পূর্ণ দিবস ছুটির। আর অতীত স্মৃতিচারণ করেন তিনি। হ্যাঁ, তিনি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যাᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚয়। যিনি প্রাক্তনকে দেখতে ছুটে গিয়েছেন।
বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য একজন প্রকৃত ভারতীয় কমিউনিস্ট যিনি মনে করেছিলেন যে, সমাজতন্ত্র যে মাটিতে এসেছে ꦗসবসময় সেই দেশের মতো করেই সমাজতন্ত্র আসবে এমনটা নয়। আমাদের দেশে সমাজতন্ত্র আসলে সেটা আসবে আমাদের দেশের মতো করে। আজ, বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাম অ্যাভিনিউ বাড়িতে গিয়ে জানিয়ে দেন, রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে গান স্যালুট দেওয়া হবে। এখানেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি ওনার স্ত্রী এবং সন্তানের পাশে রয়েছি। রাজ্যের জন্য ওনার প্রচুর অবদান রয়েছে। একটা মানুষ মরে গেলে তার জীবন শেষ হয়ে যায় না। তাঁকে মানুষ মনে রাখে তাঁর কাজের জন্য। আমি এই খবরটা শুনে খুব টেনশন পড়লাম। আর তাই আমার হাত কেটে🍰 রক্ত বেরিয়ে গেল।’
দীর্ঘদিন শ্বাসকষ্টে ভ🍸ুগছিলেন বুদ্ধবাবু। রেখে গেলেন স্ত্রী ও এক সন্তানকে। বুধবার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। আর বৃহস্পতিবার সকালে আসে মৃত্যুসংবাদ। দীর্ঘ পাঁচ দশকের রাজনৈতিক জীবন তাঁর। প্রথমে কাশীপুর–বেলগাছিয়া কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন তিনি। এরপর ১৯৮৭ সালে যাদবপুর কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হন। ২০১১ সাল পর্যন্ত টানা এই কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। অতীতের এই ইতিহাস যখন সবাই ঘাঁটছেন তখন মুখ্যমন্ত্রী জানালেন এক গোপন কথা। রাজভবনে তখন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গান্ধী। সিঙ্গুর আন্দোলনকে নিয়ে মুখোমুখি বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই আবহে তখন যা ঘটেছিল আজ সেটাই স্মৃতিচারণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ‘ভুল পদ্ধতির এক ট্র্যাজিক নায়ক’, বুদ্ধবাবুর জীবনাবসানে ফেসবুক🅘 পোস্ট ✨কুণালের
কৃষি থেকে শিল্প সবক্ষেত্রেই বিপ্লব আনতে চেয়েছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। তাঁর হাত ধরেই টাটা গোষ্ঠী বাংলায় আসে। সিঙ্গুরে ন্যানো গাড়ির কারখানা করতে চেয়ে জ♏মি অধিগ্রহণ শুরু হয়। যার বিরোধিতা করে আন্দোলনে নামেন বিরোধী নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই তুমুল আন্দোলনের জেরে পিছু হঠতে হয় বামফ্রন্ট সরকারকে। সেই অতীতকে সামনে রেখেই আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, ‘একটা সুন্দর পরিবেশে আলোচনা হচ্ছিল। গোপালকৃষ্ণ গান্ধী তখন জিজ্ঞাসা করলেন, আচ্ছা বলুন তো ভরা থাক গানটার অন্তরাটা কী? উনিও বসেছিলেন আমিও বসেছিলাম। আমি তখন বলেছিলাম, যে পথে যেতে হবে সে পথে তুমি একা। নয়নে আঁধার রবে দেওয়ানে আলোকরেখা। এই ঘটনাগুলি আমার মনে পড়ছে।’