একদিন আগেই বেলডাঙা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে 'নির্দেশ' দিয়ে বিবৃতি জারি করেছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এর আগেও বিগত কয়েক বছরে বারংবার সামনে এসেছে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত। বিভিন্ন ইস্যুতে বিবৃতি জারি করে রাজ্যকে অস্বস্তিতে ফেলেছেন রাজ্যপাল। বেলডাঙার ক্ষেত্রেও মুখ্যমন্ত্রীকে 'নির্দেশ' দিয়ে রাজ্যকে চাপে ফেললেন সিভি আনন্দ বোস। এরই মাঝে এবার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে নিজের সম্পর্ক নিয়ে অকপট স্বীকারোক্তি রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের। আবার পুলিশ নিয়েও মুখ খুলেছেন তিনি। তাঁর মতে, রাজ্যের পুলিশের একাংশ দুর্নীতিগ্রস্ত। তবে তার জন্যে গোটা পুলিশ বাহিনীকে কাঠগড়ায় তোলা যায় না। (আরও পড়ুন: এখন ডিএ-বেতন বাড়ুক বা এক থাকুক, পরে 𒀰বেশি ভরবে পকেট! চিন্তা কমবে সরকারি কর্মীদের)
আরও পড়ুন: কসবা কাণ্ডের তদন্তে নয়া মোড়, সুশান্ত 'খুনের ছক' কষেছিল জেল ফের🌟ত এক খুনের আসামি!
আরও পড়ুন: বাংলার সরকারি কর্মীদের জন্য 🎃জারি গুরুত্বপূর্ণ বিজ্ঞপ্তি, অনে🃏কেই পাবেন ২৫৩৫৯ টাকা
মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নিয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বললেন, 'প্রথম বছর এই সম্পর্ক ছিল মিষ্টি এবং আলোক উজ্জ্বল। দ্বিতীয় বছরে সেই সম্পর্কে বেশ কিছু ঘন কালো মেঘ আসে। তৃতীয় বছরে চাই এই সম্পর্ক নতুন আকাশ, নতুন পৃথিবী দেখুক। গোটা দেশের মধ্যে এ রাজ্যে যাতে মুখ্যমন্ত্রী-রাজ্যপালের সম্পর্ক শ্রেষ্ঠ হয়, সেটাই চাইব।' এদিকে নরমে-গরমে কলকাতা পুলিশকে বার্তা দিয়েছেন রাজ্যপাল। এই নিয়ে তিনি বলেন, 'একাংশ অপরাধী, একাংশ রাজনীতির দ্বারা প্রভাবিত, একাংশ দুর্নীতিগ্রস্ত। তার জন্য সমস্ত পুলিশ বাহিনীকে দোষ দেওয়া যায় না।' (আরও পড়ুন: বৃহস্পতি পর্যন্ত মুর্শিদাবাদ জুড়ে বন্ধ ইন্টারনেট, বেলডাঙার পর🎃িস🦄্থিতি এখন কেমন?)
আরও পড়ুন: এ যেন মাকড়সার জাল! ট্যাব কাণ্ডে উঠে আসছ💦🎃ে একের পর চাঞ্চল্যকর তথ্য
আরও পড়ুন:
এর আগে বেলডঙা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে অবিলম্বে পদক্ষেপ করতে 'নির্দেশ' দিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এছাড়া রাজ্যপাল নিজের সব সফর বাতিল করেছেন। কলকাতায় থেকেই তিনি পরিস্থিতির ওপর নজর রাখবেন বলে জানানো হয়েছিল রাজভবনের তরফ থেকে। বেলডাঙার পরিস্থিতি নিজ🏅ে বিবৃতিতে রাজ্যপাল বলেছেন, 'মুর্শিদাবাদে ক্রমেই বাড়ছে হিংসা: মুখ্যমন্ত্রীকে অবিলম্বে পদক্ষেপ করতে নির্দেশ দিচ্ছেন রাজ্যপাল। রাজ্যপালের যে সকল সফর ছিল তা বাতিল করা হয়েছে। রাজ্যপাল কলকাতাতে থেকেই পরিস্থিতির ওপর নজর রাখবেন।' প্রশাসনের বিরুদ্ধে এহেন কড়া বিবৃতি দেওয়ার পরই পুলিশ এবং মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে 'ইতিবাচক' মন্তব্য শোনা গেল রাজ্যপালের গলায়। যা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।