অত্যন্ত সঙ্কটজনক অবস্থায় রয়েছেন কিংবদন্তী অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। গভী♉র কোমায় আচ্ছন্ন সৌমিত্রবাবু রয়েছেন ১০০ শতাংশ ভেন্টিলেশন সাপোর্টে। কিন্তু হাসপাতালের তরফ থেকে রবিবার সকাল সাড়ে ১১টা পর্যন্ত কোনও দুঃসংবাদ দেওয়া হয়নি। অথচ এর ঠিক ১২ ঘণ্টা আগে (শনিবার রাত ১১টা ৫২ মিনিট) সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় আমাদের মধ্যে নেই বলে ফেসবুকে ঘোষণা করে দিয়েছেন বিজেপি সাংসদ অনুপম হাজরা। ফেসবুকে তিনি সৌমিত্রবাবুর একটি ছবি দিয়ে লিখেছেন, ‘নক্ষত্র পতন! আলোকময় দীপাবলীর রাত অন্ধকার করে চলে গেলেন আমাদের সকলের প্রিয় ফেলুদা!’
আর এর জেরে যেমন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো সংবাদ ছড়াচ্ছে তেমনই এমন বিভ্রান্🐭তমূলক পোস্ট নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে। এটা ঠিক যে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের𝄹 মেডিক্যাল দলের এক চিকিৎসক জানিয়ে দিয়েছেন যে উনি প্রায় এমন জায়গায় আছেন, যেখান থেকে ফেরা কার্যত অসম্ভব। কোনও চিকিৎসায় সাড়া না দিলেও হাসপাতালের তরফ থেকে সৌমিত্রবাবুর কোনও মৃত্যুসংবাদ ঘোষণা করা হয়নি। কিন্তু তার আগেই এই ফেসবুক পোস্টকে ঘিরে বিজেপি নেতার দায়িত্বজ্ঞান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। এ নিয়ে এত বিতর্ক হলেও রবিবার সকাল সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ফেসবুক পোস্টটি মুছে দেননি বিজেপি সাংসদ।
সোশ্যাল ম𝄹িডিয়ায় অনুপমের এই বেপরোয়া পোস্টে অনেকেই তাঁদের ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। কেউ লিখেছেন, ‘দয়া করে ভুয়ো খবর ছড়াবেন না।’ কেউ এটা লিখে প্রতিবাদ জানিয়েছেন যে, ‘জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে এরকম মন্তব্য আসা করা যায় না।’ ‘এই ঘোষণা নিয়ে কোনও প্রতিযো𝐆গিতা চলছে না’— এ কথা লিখে বিজেপি সংসাদকে কটাক্ষ করেন এক মহিলা। এমনকী কলকাতা পুলিশকে ব্যাপারটি দেখার অনুরোধ জানিয়েছেন জনৈক রাজশেখর সিনহা রায়। যদিও এ নিয়ে কোনও পাল্টা মন্তব্য করেননি অনুপম হাজরা।
এদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের শারীরিক পরিস্থিতিতে লাগাতার অবনতি হয়েছে। সমস্ত অঙ্গকে সচল রাখতে যা কিছু করা প্রয়োজন সবই করা হয়েছে, তবে তাতেও শারীরিক অবস্থার অবনতি ঠেকানো 🍌যাচ্ছে না। ৮৫ বছর বয়সী সৌমিত্রবাবুর স্নায়ু সক্রিয়তা তলানিতে, কোনও ওষুধেই কাজ হচ্ছে না। বাবার অবস্থা দেখে রবিবার গভীর রাতে বেলভিউ হাসপাতালের বাইরে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন তাঁর কন্যা পৌলমী বসু।