বিজেপি–র হিসেব অনুযায়ী, এ পর্যন্ত তাঁদের ১২০ জনেরও বেশি দলীয় কর্মীকে খুন করা হয়েছে এ রাজ্যে। প্রতিটি খুনের পেছনে দায়ী তৃণমূল, এমনই অভিযোগ গেরুয়া শিবিরের। এই খুনের রাজনীতির পাশাপাশি রাজ্যে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ও বিজেপি কর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দেওয়ার প্রতিবাদে বুধবার দুপুরে একটি মিছিল বের করে বিজেপি–র যুব মোর্চা। কথা ছিল মৌন মিছিলের। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মিছিলকে ঘিরে হল ধুন্ধুমার কাণ্ড। উত্তেজনা চরমে উঠল কলকাতার সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ–তে।এদিন মুরলীধর সেন লেনে রাজ্য বিজেপি–র সদর দফতর থেকে ময়দানের গান্ধী মূর্তি পর্যন্ত মিছিল হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মিছিল কিছুটা এগোতেই তা আটকে দেয় পুলিশ। কারণ, মিছিলের জন্য কোনও পুলিশি অনুমতি নেওয়া হয়নি। সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ–কলেজ স্ট্রিট ক্রসিংয়ে পুলিশ বাধা দিতেই শুরু হয়ে যায় বচসা। তার পর ধস্তাধস্তি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কলকাতায় পা রাখার আগেই এদিনের এই প্রতিবাদ মিছিলকে কাজে লাগিয়ে বিজেপি নিজের শক্তি প্রদর্শন করল বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরাএদিন পুলিশ প্রথমে মাইকিং করে মিছিল বন্ধ করতে আবেদন করে। পরে লাঠি উঁচিয়ে বিজেপি নেতাকর্মীদের তাড়া করতে বাধ্য হন তাঁরা। ব্যারিকেড করে দেওয়া হয় গোটা এলাকা। একের পর এক সেই ব্যারিকেড ভেঙে ফেলার চেষ্টা করে গেরুয়া শিবির। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে দলের অনেকেই জখম হন বলে অভিযোগ বিজেপি–র। পুলিশের বিরুদ্ধে মারধর করার অভিযোগ করেছেন বিজেপি নেত্রী অভিনেত্রী কাঞ্চনা মৈত্র। মিছিলে অসুস্থ হয়ে পড়ে রাস্তায় বসে এদিন তিনি বলেন, ‘প্রতিবাদ করতে গেলে পুলিশের মার খেতে হয় মহিলাদের। এই হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে মহিলাদের অবস্থা।’এদিকে, যুব মোর্চার রাজ্য সম্পাদক পামেলা গোস্বামী বলেন, ‘বাংলার পুলিশ–প্রশাসন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি–র ক্ষমতা বুঝে গিয়েছেন। এবার ওঁদের চলে যাওয়ার সময় এসে গিয়েছে।’ এদিনের ঘটনায় বেশ কয়েকজন যুব মোর্চা কর্মী–সমর্থককে আটক করে পুলিশ। বিকেল পৌনে পাঁচটা নাগাদ কর্মসূচি তুলে নেয় বিজেপি।