দিল্লির নিজামুদ্দিনে তবলিঘি জামাতের ধর্মীয় সমাবেশে যোগদানকারী বাংলার বাসিন্দাদের সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তা ‘সাম্প্রদায়িক’ বলে এড়িয়ে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, রাজ্যে কতজন জামাত-ফেরত সদস্যকে চিহ্নিত করা গিয়েছে? জবাবে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এই সব সাম্প্রদায়িক প্রশ্ন করবেন না।’নবান্নে এ দিনের সাংবাদিক বৈঠকের ভিডিয়ো ক্লিপিং মুখ্যমন্ত্রীর ফেসবুক পেজে পোস্ট করা হলেও তাতে জামাত সংক্রান্ত প্রশ্নোত্তর পর্বটি ছেঁটে ফেলা হয়েছে। প্রশাসনের সংখ্যালঘু তোষণ নীতি নিয়ে ইতিমধ্যে সমালোচনায় সরব হয়েছেন বিরোধীরা।প্রশাসনিক সূত্রে খবর, গত মার্চ মাসে নিজামুদ্দিনের সমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন রাজ্যের কমপক্ষে ৩০৩ জন জামাত সদস্য। ১০৮ জন বিদেশি নাগরিক-সহ এই ৩০৩ জনকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।গত ১৩-১৫ মার্চ দিল্লি সরকারের নিষেধাজ্ঞা অগ্রাহ্য করে কয়েক হাজার জামাত সদস্য নিজামুদ্দিনের ধর্মীয় সমাবেশে যোগ দেন। তাঁদের মধ্যে অনেকে পরে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন।পশ্চিমবঙ্গ হজ কমিটির এক শীর্ষকর্তা জানিয়েছেন, ‘এই মুহূর্তে ৩০৩ জন জামাত সদস্য এবং দিল্লির সমাবেশে অংশগ্রহণকারীদের রাজারহাটের হজ টাওয়ার ও এমপাওয়ারমেন্ট সেন্টারে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। তাঁদের বিনামূল্যে খাবার দেওয়া হচ্ছে। প্রতিদিন চিকিৎসকরা তাঁদের পরীক্ষা করছেন।’জানা গিয়েছে, এই ৩০৩ জনের মধ্যে ১৯৫ জন রাজ্যের বাসিন্দা এবং বাকি ১০৮ জন ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, মায়ানমার, থাইল্যান্ড ও বাংলাদেশের নাগরিক।আরও জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে নির্দেশ পাওয়ার পরেই রাজ্যজুড়ে ছড়িয়ে থাকা তবলিঘি জামাত সদস্যদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য হজ কমিটি। কোয়ারেন্টাইন পর্ব শেষ হলে তাঁদের বাড়ি ফেরত পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন রাজ্য স্বাস্থ্য মন্ত্রকের এক কর্তা।