রাজভবনে গোপনে নজরদারি চালানোর অভিযোগ আগে তুলেছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এবার রাজ্যপাল আজ, মঙ্গলবার সরাসরি অভিযোগ করেন, এমন প্রচেষ্টাই রাজভবনে করা হয়েছিল। এই কথা আবার বলার সঙ্গে সঙ্গে রাজ্য😼–রাজনীতি সরগরম হয়েছে। রাজভবনে এবং রাজ্যপালের উপর নজরদারি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের সঙ্গে রাজ্যপালের সংঘাত দীর্ঘদিনের। সেখানে এমন অভিযোগ বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। আগে এই অভিযোগের উপর ভিত্তি করে তিনজন পুলিশ কর্মীকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তারপর থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান সেখানে মোতায়েন করা হয়।
এদিন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন। কারণ বাংলার তাঁর একবছর পূর্তি হতে চলেছে। আগামী ২৩ নভেম্বর রাজ্যপালের বাংলায় একবছর পূর্ণ হবে। রাজ্যপালের কথায়, ‘রাজভবনে নজরদারি করার নির্ভরযোগ্য তথ্য রয়েছে।’ গোটা রাজভবন এবং রাজ্যপালের উপর নজরদারি কারা করছেন? এটা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। এই প্রসঙ্গ আজ রাজ্যপাল প্রকাশ্যে নিয়ে আসায় আবার জোর চর্চা শুরু হয়েছে। এই পরিস্থিতির মধ্যে রাজভবনে নজরদারির অভিযোগ বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। তবে বিষয়টি নিয়ে রাজ্যপাল নিজে কারও বꦜিরুদ্ধে মুখ খোলেননি। আগে পুলিশের বিরুদ্ধে তিনি অভিযোগ করেছিলেন।
তাহলে এবার কে বা কারা? এই নজরদারির বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরে আনা হয়েছে বলে আজ জানিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সংবাদসংস্থা পিটিআই– কে আজ, মঙ্গলবার রাজ্যপাল বলেন, ‘এটা অত্যন্ত বাস্তব। আমღার কাছে নির্ভরযোগ্য তথ্য এসেছে যে, রাজভবনে নজরদারি করা হচ্ছে। এই ইস্যুটি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে তুলে ধরা হয়েছে। আমি অপেক্ষা এবং নজর রাখছি।’ তবে কে বা কারা এই নজরদারি করার চেষ্টা করছে রাজ্যপাল সে বিষয়ে কোনও তথ্য দেননি। তবে নানা ইস্যুতে রাজ্য সরকারের সঙ্গে তাঁর মতপার্থক্য রয়েছে। তা থেকে সংঘাতের বাতাবরণ বারবার তৈরি হয়েছে। তাই সন্দেহ ওই দিকেই যাচ্ছে অনেকের।
আরও পড়ুন: রাজ্যে মাল্টি সুপার স্পেশালিটি হাসপাত𝔍াল দেবী শেঠির, বিপুল পরিমাণ কর্মসংস্থানের ঘোষণা
আর কী জানা যাচ্ছে? রাজভবনে নজরদারির অভিযোগ ওঠা খুব গুর🅠ুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ রাজ্যপাল সাংবিধানিক প্রধান। সুতরাং সেখানে যেই নজরদারি করছে বা করেছে সেটা সম্পূর্ণ অপরাধের সামিল। সূত্রের খবর, রাজভবনের অফিসে ঠিক কী কাজকর্ম হচ্ছে? কারা এখ💟ানে আসছেন? এসবের উপর নজরদারি চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয়, ট্যাপ করা হচ্ছে রাজ্যপালের টেলিফোন বলেও অভিযোগ আগে উঠেছিল। এবার এই বিষয়ে তাঁর কাছে নির্ভরযোগ্য তথ্য রয়েছে। এমনই দাবি করেছেন রাজ্যপাল। তাহলে সেই তথ্য প্রকাশ্যে আনছেন না কেন? উঠছে প্রশ্ন।