আজ, মঙ্গলবার, স্বামী বিবেকানন্দর ১৫৯তম জন্মদিন। রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের বিভিন্ন কেন্দ্রে মহাসমারোহে পালিত হচ্ছে আজকের দিনটি। একইসঙ্গে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের তরফে রাজ্য জুড়ে প্রতিটি ব্লকে এই বিশেষ দিন পালনের কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। প্রতি বছরের মতো এবারও উত্তর কলকাতায় সিমলা স্ট্রিটে স্বামীজির বাড়িতেও বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এদিন সকাল থেকেই সেখানে দেখা যাচ্ছে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের উপস্থিতি। ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা, তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী, কৈলাস বিজয়বর্গীয় প্রমুখ।ভোটমুখী বাংলায় স্বামী বিবেকানন্দকে নিয়ে বিজেপি ও তৃণমূলের টানাপোড়েন অব্যাহত। জাতীয় যুব দিবস উপলক্ষে আজ, মঙ্গলবার বিজেপি–র তরফে শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড় থেকে বিধান সরণি হয়ে স্বামীজির জন্মস্থান সিমলা স্ট্রিট পর্যন্ত মিছিলের আয়োজন করা হয়েছে। পাশাপাশি আজই যুব তৃণমূলের পক্ষ থেকে যুব দিবস উপলক্ষে মিছিল রয়েছে। দক্ষিণে গোলপার্ক থেকে শুরু করে গড়িয়াহাট, ট্র্যাঙ্গুলার পার্ক, রাসবিহারী মোড় হয়ে মিছিল শেষ হবে হাজরা মোড়ে গিয়ে। এই মিছিলের নেতৃত্ব দেবেন যুব তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি তথা তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।এদিন সিমলা স্ট্রিটে স্বামীজির বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে রাজ্যের নারী ও শিশুকল্যাণ দফতরের মন্ত্রী শশী পাঁজা নাম না করে বিজেপি–কে কটাক্ষ করে বলেন, ‘এখানে প্রতি বছরই আমরা আসি। নির্লিপ্তে, নিশ্চুপে শ্রদ্ধা জানিয়ে মহারাজদের উপস্থিতিতে এখানে মিছিলও হয়। কিন্তু এবার একেবারে অন্য ভাবনা আমরা দেখতে পারছি। সোমবার এখানে রাস্তার ওপরে একটা রাজনৈতিক তর্ক–বিতর্কও চলছিল। এবং আজও এখানে নানা নেতা, মন্ত্রীদের উপস্থিতিতে ‘ভারতমাতা কি জয়’ ছাড়াও নানা ধর্মীয় স্লোগান উঠতে দেখলাম। এই সব জয়ধ্বনি রাজনৈতিক কথাবার্তাকেই আশ্রয় দেয়। আর এ বছর কেন বাংলায় এতজন মানুষ আসছেন? নির্বাচন সামনে বলে?’স্বামীজির প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘এই নিয়ে ২০ বছর হয়ে গেল। প্রতি বছর আসি। শ্রদ্ধা জানাই। অন্তর থেকে করি। স্বামীজির আদর্শ খুবই প্রাসঙ্গিক। আমরা সবাই তো ত্রুটিযুক্ত মানুষ, আধ্যাত্মিক জীবনযাপন করতে আমরা পারি না। কিন্তু প্রাসঙ্গিক জীবনযাপন করতে পারি। লকডাউনে একটা পরিবারকে খাওয়ানোর দায়িত্ব আপনিও নিতে পারেন, আমিও নিতে পারি। এটাই স্বামীজির পথ, মত।’আজকের দিনটা আপনার নতুন পথে কতটা অক্সিজেন যোগাবে? উত্তরে শুভেন্দু বলেন, ‘এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। আমি এর আগে কলেজের ছাত্র হিসেবে এসেছি, কাউন্সিলর, বিধায়ক, সাংসদ হিসেবে এসেছি, গত বছর মন্ত্রী হিসেবে এসেছি। আজ একজন সাধারণ নাগরিক, ভারতীয় হিসেবে এসেছি।’