খলিস্তানি বিতর্ক নিয়ে এর আগেই এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তবে ২১শে ফেব🥀্রুয়ারি, ভাষা দিবসেও সেই খলিস্তানি বিতর্ককে নতুনভাবে নিয়ে এলেন বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী। কেন পুলিশ অফিসারকে খলিস্তানি বলে উল্ল📖েখ করা হয়েছিল ফের সেই প্রশ্ন তুললেন তিনি।
প্রসঙ্গত সন্দেশখালির পথে যাচ্ছিলেন বিজেপির প্রতিনিধিদল। সেই সময় পুলিশ তাদের পথ আটকায়। সেই সময় এক আইপিএসকে খলিস্তানি বলে কটাক্ষ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। তার জেরে ౠউত্তাল হয়ে ওঠে বাংলার রাজনৈতিক মহল। তবে বিজেপি আগেই দাবি করেছিল তাদের তরফ থেকে কেউ খলিস্তানি বলে কাউকে উল♏্লেখ করেননি। তবে তৃণমূল অবশ্য এই ইস্যুকে সামনে এনে বাজার গরম করা শুরু করে। ফের সেই খলিস্তানি প্রসঙ্গ তুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, …পাঞ্জাবি অফিসার কি দোষ করল? তুমি তাকে খলিস্তানি বলে দেবে? দু একজন গজিয়ে উঠেছে যারা বাংলা ভাষাকে লাঞ্ছনা করছে। আমি তাদেরকে বলে দিই আগামী দিনে আপনারা ভালো থাকু🔴ন। আমরা মা💞থা নত করতে জানি না।
অন্যদিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে বিশেষ বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সব ভাষার তার নিজস্বতা আছে। সব ভাষাকে আমরা সম্মান করি। সবার মত প্রকাশের স্বাধীনতা আছে। আমিও অলচিকি ভাষায় লিখেছি। আজ একটা প্রবণতা চলছে বাংলার সংস্কৃতিকে ছিন🍌্ন বিচ্ছিন্ন করে দিয়ে। যে ভরসা যোগায়, বিশ্বাস যোগায় সেই সংস্কৃতিকে লাঞ্ছনা করে কোনও কিছু একটা চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। তাই আমি বলব আজ শপথ নিন বাংলার এই চক্রান্তকে ಞছিন্ন বিচ্ছিন্ন করতে দেব না।
অন্যদিকে আধার প্রসঙ্গেও মুখ খোলেন মুখ্য়মন্ত্রী। তিনি বলেন, আধার নিয়ে যা♈ হল আমরা এটা রুখে দিয়েছি।বাংলাই পারে। আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। সব মতুয়াদের আধার কার্ড ডি অ্য়াক্টিভেট করে দিয়েছে। কেন কাটল, কারণ ওরা বলে বিদেশি। ৫ বছর বাদে শুনতে হবে বিদেশি বিদেশি। আমি ভোটের অঙ্কে বিশ্বাস করি না, মানবিকত🐲ায় বিশ্বাস করি।
খলিস্তানি থেকে আধার কার্ড ✃একের পর এক তোপ দাগেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে বুধবার কলকাতার দেশপ্রিয় পার্কে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি দফতর। মমতা জানিয়েছেন, সব ভাষার প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। কারণ তৃণমূল কংগ্রেস সরকার মনে করে যে সব ভাষা গুরুত্বপূর্ণ। সেইসঙ্গে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে আক্রমণ শানিয়ে মমতা অভিযোগ করেন, বাংলার সংস্কৃতির প্রতি লাঞ্চনা করা হচ্ছে। বাংলার সংস্কৃতিকে যাতে ‘ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন’ করা না যায়, সেটার জন্য শপথ নিতে বলেন মুখ্য൲মন্ত্রী।