𓆏স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য হাসপাতালে এসেছিলেন। তারইমধ্যে পার্থ চট্টোপাধ্যাকে জোকার ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে আ🐼সা হয়। সেইসময় রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে লক্ষ্য করে জুতো ছোড়েন ওই মহিলা। কিন্তু আচমকা কেন পার্থের দিকে জুতো ছুড়লেন ওই মহিলা এবং তিনি কে আদতে, তা জেনে নিন -
- যে মহিলা পার্থকে জুতো ছুড়েছেন, তাঁর নাম শুভ্রা ঘোড়ুই। তাঁর বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার আমতলায়। যে এলাকা থেকে জোকা ইএসআই হাসপাতালের দূরত্ব বেশি নয়।
- স্বাস্থ্যপরীক্ষা করতে মঙ্গলবার জোকার ইএসআই হাসপাতালে এসেছিলেন আমতলার মহিলা। সেখানেই পার্থকে লক্ষ্য করে জুতো ছোড়েন।
- ১৫ বছর আগে বিয়ে হয় মহিলার। তাঁর স্বামী স্থানীয় প্লাইউড কারখানায় কাজ করেন। দম্পতির এক মেয়ে আছেন। তিনি উচ্চমাধ্যমিক স্তরে পড়াশোনা করছেন।
আরও পড়ুন: Partha Chatterꦇjee: ‘জুতোটা ওর মাথায় লাগলে শান্তি পেতাম’, পার্থকে লক্ষ্য করে মহিলার জুতো
- কিন্তু পার্থকে লক্ষ্য করে জুতো ছুড়লেন কেন? মহিলা জানিয়েছেন, পার্থের মতো নেতাদের কোটি-কোটি টাকা আছে। একাধিক ফ্ল্যাট কিনে রেখেছেন। এসি গাড়িতে চেপে হাসপাতালে আসছেন। তার ফলে সাধারণ মানুষের সমস্যা হচ্ছে।
- জুতো অবশ্য পার্থের গায়ে লাগেনি। সেজন্য রীতিমতো হতাশা প্রকাশ করেছেন মহিলা। তাঁর আফসোস, 'পার্থের টাকে জুতোটা লাগলে শান্তি পেতাম।
- মহিলার প্রতিবেশী বলেন, 'উনি খুব কম বাড়ির বাইরে যান। রাজনীতির সঙ্গে কোনও যোগ নেই তাঁদের। কারও সঙ্গে কখনও তাঁকে ঝগড়া করতে দেখিনি। রেগে যেতেও দেখেনি। ওঁর হাতে ব্যথা ছিল। ওষুধের জন্য গিয়েছিলেন। মনে হচ্ছে, মাথা গরম হয়ে গিয়েছিল।'
আরও পড়ুন: মে🔜য়ের সঙ্গে পার্থর সম্পর্কের কথা জানতাম না, দাবি অর্পিতার মায়ের
পার্থের গ্রেফতারি
স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি) দুর্নীতি মামলায় পার্থকে গ্রেফতার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। তারপর পার্থের একাধিক 'গোপন' সম্পত্তি সামনে এসেছে। তারইমধ্যে পার্থের ‘🌌ঘনিষ্ঠ সহযোগী’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে ৫০ কোটি টাকা উদ্ধার করেছে ইডি। টালিগঞ্জের ফ্ল্যাট থেকে প্রায় ২২ কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়। বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট সেই অঙ্কটা⛦ও ছাপিয়ে যায়। সেখান থেকে ২৭.৯ কোটি টাকা উদ্ধার করেছে ইডি।
সেই পরিস্থতিতে চূড়ান্ত অস্বস্তিতে পড়ে যায় রাজ্য সরকার এবং রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। বিশেষত দুর্নীতির অভিযোগটা শিক্ষা নিয়ে যাওয়ায় একেবারে আমজনতা, মধ্যবিত্তের জীবনে প্রভাব ফেলে। সেই পꦺরিস্থিতিতে গত সপ্তাহে রাজ্য মন্ত্রিসভা থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায় সরিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পার্থের হাতে তিনটি দফতর ছিল। তিনটি থেকেই বরখাস্ত হন মমতার এককালের ‘অনুগত সৈনিক’। পরে বিকেলে তাঁকে তৃণমূল থেকে সাসপেন্ড করা হয়। কেড়ে নেওয়া হয় পাঁচটি পদই। যিনি আপাতত ইডির হেফাজতে আছেন। তাঁকে আগামিকাল ফের আদালতে পেশ করবে কেন্দ্রীয় সংস্থা।