বিধানসভা উপ নির্বাচনে জয়ী তৃণমূল প্রার্থীদের শপথ নিয়ে জটিলতার মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া দিলেন রা𝄹জ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। শুক্রবার রাজভবনের তরফে বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, বিধানসভায় স্পিকারের পৌরহিত্যে শপথ নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে রাজ্যপালকে নির্বাচিত তৃণমূল প্রার্থীরা যে চিঠি দিয়েছেন তাতে কোথাও রাজভবনে যেতে ভয় পাচ্ছেন বলে তাঁরা জানাননি।
আরও পড়ুন - রাজভবনের সামনে শুভে🃏ন্দুর ধরনা কবে? তারিখ নিয়ে মতবিরোধে এখন বিশ বাঁও জলে
পড়তে থাকুন - সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ বাংলাꦗর মুখ্যমন্ত্রীর, শহরের বুকে বৈঠক হবে?
সোশ্যাল মিডিয়ায় রাজভবনের তরফে জারি করা বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, নির্বাচিত তৃণমূল প্রার্থীদের বিধায়ক পদে শপথ নেওয়ার জায়গা রাজভবন থেকে বিধানসভায় স্থানান্তর করা যায় কি না তা নিয়ে চিন্তা ভাবনা করছিলেন রাজ্যপাল। তারই মধ্যে বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজভবনে যা কাণ্ডকারখানা চলছে, মেয়েরা সেখানে যেতে ভয় পাচ্ছে। বিবৃতিতে রাজভবনের তরফে জানানো হয়েছඣে বিধানসভায় শপথ নিতে চেয়ে তৃণমূল প্রার্থীরা যে চিঠি রাজ্যপালকে দিয়েছেন তাতে এরকম কোনও ভয়ের কথা ক꧙েউ উল্লেখ করেননি।
ওদিকে বিধানসভায় শপথ নিতে চেয়ে তৃণমূল প্রার্থীদের ধরনা শুক্রবার তৃতীয় দিনে পড়েছে। এদিনও আম্মেদকর মূর্তির সামনে ধরনায় বসেন বরাহনগরের জয়ী তৃণমূল প্রার্থী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও ভগবানগোলার জয়ী তৃণমূল প্রার্থী রায়াত হোসেন। সায়ন্তিকা বলেন, আমরা রাজ্যপালকে চিঠি দিয়ে অন্য কাউকে শপথবাক্য পাঠ করার অনুমতি দিতে অনুরোধ করেছিলাম। উনি সেব্যাপারে উল্লেখ না করে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য নিয়ে পড়েছেন। আমরা সৌজন্যের খাতিরে রাজভবনের অ🦩ন্দরে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির কথা চিঠিতে উল্লেখ করিনি।
আরও পড়ুন - নির্বাচিত বোর্ড না থাকা পুরসভা নিয়ে ফিরহাদকে নির্দেশ মꦜমতার, পুরভোট কি আরও পরে!
লোকসভা ভোটের সঙ্গে বরাহনগর ও ভগবানগোলা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হয়। বরাহনগরে জেতেন তৃণমূল প্রার্থী সায়ন্তিকা বন্দ্꧋যোপাধ্যায়। ভগবানগোলায় রায়াত হোসেন। লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গেই গত ৪ জুন প্রকাশিত হয় বিধানসভা উপ নির্বাচনের ফল। তার পর থেকে বিধায়ক পদে শপথগ্রহণের অপেক্ষায় ২ জয়ী প্রার্থী। মাস ঘুরতে চললেও রাজ্য – রাজ্যপাল দ্বন্দে জনপ্রতিনিধিত্বের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন ২ কেন্দ্রের কয়েক🌸 লক্ষ মানুষ।