প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে তাপমাত্রার পারদ। এবার যা গরম পড়েছে তা একাধিক রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। জ্বালাপোড়া এবং হাঁসফাঁস এই গরমে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। আর এবার তীব্র গরমে অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হল আরও একজনের। মৃত যুবকের নাম প্রবন্ধকুমার রানা (২৯)। তিনি বাগুইআটির অর্জুনপুর এলাকার বাসিন্দা। পরিবারের দাবি, গরমে অসুস্থ হওয়ার ফলে তার মৃত্যু হয়েছে। যদিও মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানান জন্য দেহ ময়নাতদন্ত করতে পাঠিয়েছ🔴ে পুলিশ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে হিট স্ট্রোকে একদিনে ১৭ জনের মৃত্যু, রেকর♈্ড মৃত্যুর সংখ্যায় তুমুল আল🐓োড়ন
পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রবন্ধের বাবা প্রদীপ কুমার রানার আগেই মৃত্যু হয়েছে। তার বাড়িতে রয়েছেন বৃদ্ধা মা, বোন এবং ক🎉াকা। প্রবন্ধ কুমার অবিবাহিত ছিলেন। জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। রবিবার সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর আর ঘরে ফেরেননি। তার খোঁজ না মᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚেলায় পরিবারের সদস্যরা বাগুইআটি থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। পরে পুলিশ প্রবন্ধের দেহ খুঁজে পেয়ে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রবন্ধ বেশ কয়েকদিন ধরে মানসিক অবসাদের মধ্যে ছিলেন। তবে তাদের দাবি, পুলিশ তাদের জানিয়েছে, গরমে অসুস্থ হয়ে পড♓়েছিল প্রবন্ধ। তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত্যু হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এখনও হাতে পাওয়া যায়নি। তবে চিকিৎসকরা প্রাথমিকভাবে জানিয়েছেন গরমে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। সেই কারণেই মৃত্যু হয়েছে।
পড়ুনঃ দুর্জয় 🦩গরম! দিদির বিয়েতে নাচার সময়ে হঠাৎ মৃত্যু বোনের, সন্দেহে ‘হার্ট অ্যাটাক’
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার রেকর্ড গরম পড়েছিল। এদিন কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবার বাংলার কিছু কিছু জায়গায় ৪৫ ডিগ্রি ছাপিয়ে গিয়েছিল তাপমাত্রার পারদ। সবচেয়ে বেশি গরম পড়েছিল কলাইকুন্ডাতে। সেখানে ৪৭ ড꧟িগ্রি ছাড়িযꦫ়ে গিয়েছিল পারদ। এমন অবস্থায় পশ্চিম দিক শুষ্ক হওয়ার কারণে গরমে জ্বালাপোড়া ভাব বাড়ছে। আর সেই সঙ্গে বাড়ছে অস্বস্তি।
প্রচণ্ড রোদে হিট স্ট্রোকের সম্ভাবনা প্রবল থাকছে। ইতিমধ্যেই তীব্র গরমে অনেকে অসুস্থ ওহয়ে পড়ছেন। তাছাড়া গরমের দহন জ্বালায় বেশ কয়েকজনের মৃত্যুও হয়েছে। এই অবস্থায় প্রশাসনের তরফে হাসপাতালগুলিকে আলাদাভাবে সতর্ক করা হয়েছে। তার পাশাপাশি চিকিৎসকরা যতটা সম্ভব রোদ এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্🌃শ দিচ্ছেন।