আরজি কর কাণ্ডে কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে পথে নেমেছেন সাধারণ মানুষ। সেখানে আন্দোলনের রাশ নিজেদের হাতে নিতে মরিয়া বাম এবং বিজেপি। এই আবহে শহরতলির বিভিন্ন জায়গায় বামেরা এগিয়ে এসে আন্দোলনকে নেতৃত্বও দিচ্ছেন। একেক জায়গায় প্রতিবাদের 'মুখ' হয়ে উঠছেন বিভিন্ন বাম নেতা। তবে এর মধ্যে বেশ কয়েকজন নেতাকে নিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছে সিপিএম। রিপোর্ট অনুযায়ী, আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে 'মুখ' হয়ে ওঠা অনেক বাম নেতা নিজেরাই নারী নির্যাতনে অভিযুক্ত। তবে স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্কে তারাই এই আন্দোলনে সামনের সারিতে চলে আসছেন বহু জায়গায়। এই নিয়ে কানাঘুষো শুরু হয়েছে দলের নানান স্তরে। দাবি করা হচ্ছে, বিভিন্ন জেলায় স্থানীয় নেতৃত্বের প্রশ্রয়েই নারী নির্যাতনে অভিযুক্তরা আরজি কর কাণ্ডের 'প্রতিবাদী মুখ' হয়ে উঠছেন। (আরও পড়ুন: বড় পদক্📖ষেপ ইডির, রোজভ্যালিতে রাখা কয়েক কোটি টাকা ফেরত পাবেন 🐼আমানতকারীরা)
রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে, ব্যারাকপুর, হাওড়া, বারাসতের মতো জায়গায় এমন নেতারা প্রতিবাদের 'নেতা' হয়ে উঠেছেন, যাঁদের বিরুদ্ধে নারী নির্যা꧑তনের অভিযোগ রয়েছে এবং সিপিএম সেই স💖ব নেতাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপও করেছে। জানা যাচ্ছে, ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে এক শিক্ষকনেতার বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছিল। সেই নেতা এখন আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদের মুখ হয়ে উঠেছেন। এর আগে তাঁর বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন সংক্রান্ত অভিযোগ জমা পড়েছিল দলের অভ্যন্তরীণ কমিটিতে। তবে তা দলের অন্দরের সমীকরণে ধামাচাপা পড়ে গিয়েছিল। এদিকে দক্ষিণ কলকাতাতেও নাকি সিপিএম থেকে সাসপেন্ড হওয়া এক নেতা 'প্রতিবাদী মুখ' হয়ে উঠেছেন। সেই নেতার বিরুদ্ধেও নারী নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছিল। আর তাই ৬ মাসের জন্য তাকে দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এই ধরনের বহু ক্ষেত্রেই নাকি সংশ্লিষ্ট নেতাদের বিরুদ্ধে দলীয় মহিলা কর্মীদের বিরুদ্ধেই হেনস্থার অভিযোগ রয়েছে। তবে সেই সব অভিযুক্ত নেতাদের 'মুখ' করে তোলার নেপথ্যে জেলা কমিটিগুলিরই প্রশ্রয় রয়েছে বলে উষ্মা প্রকাশ করছে সিপিএমেরই একাংশ।
এদিকে রিপোর্ট অনুযায়ী, আরজি করে খুন হওয়া নির্যাতিতার বাড়ির এলাকায় বেশ কয়েকদিন অবস্থান বিক্ষোভ করেছিল সিপিএমের ছাত্র-যুব-মহিলা সংগঠন। এবং সেই অবস্থান বি🌞ক্ষোভের মঞ্চে দাঁড়িয়ে নারী সুরক্ষা নিয়ে ভাষণ দেওয়া এক নেতার বিরুদ্ধে রয়েছে নারী নির্যাতনের অভিযোগ। এদিকে বারাসতেও বহিষ্কৃত এক যুবনেতা আন্দোলনের প্রথম সারিতে রয়েছেন বলে দাবি রিপোর্টে। এদিকে আননন্দবাজারের রিপোর্ট অনুযায়ী, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সিপিএমের এক শীর্ষ নেতার দাবি, গত কয়েক নির্বাচনে দল সেভাবে ভোট না পেলেও স্থানীয় কমিটিতে থাকার মোহ রয়েছে অনেকের মধ্যেই। এই আবহে স্থানীয় রাজনৈতিক সমীকরণের কারণে এই সব অভিযুক্ত নেতারা সামনের সারিতে চলে আসছেন। শীর্ষ স্তর থেকে তা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়ছে।