বগটুই কাণ্ড নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে চারটি জনস্বার্থ মামলার শুনানি চলছে একসঙ্গে। আজ বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে মুখবন্ধ খামে কেস ডায়েরি জ⛄মা দেন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল। তাতে যারা মৃত্যুর আগে জবানবন্দি দিয়েছিলেন সেই জবানবন্দিও আদালতে পেশ করে রাজ্য। তবে যে জবানবন্দি আদালতে দেওয়া হয় তা ছিল ইংরেজিতে লেখা। আর তাই নিয়ে প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাইকোর্ট।
অ্যাডভোকেট জেনারেলের উদ্দেশ্যে ডিভিশন বেঞ্চের প্রশ্ন, ‘এই জবানবন্দি ইংরেজিতে কেন লেখা রয়েছে? যারা মারা গিয়েছেন তারা কি শিক্ষিত ছিলেন?’ অ্যাডভোকেট জেনারেল আদালতের প্রশ্নের উত্তরে জানান, ‘তাদ♌ের সামনে থাকা চিকিৎসক এই জবান বন্দি নিয়েছেন। সেই কারণে এগুলি ইংরেজিতে লেখা।’ অ্যাডভোকেট জেনারেলের উত্তর আদালতের কাছে যুক্তি সঙ্গত মনে হওয়ায় এনিয়ে অবশ্য আদালতের কাছে আর প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়নি অ্যাডভোকেট জেনারেলকে।
এই হত্যাকাণ্ডে এখনও পর্যন্ত কী কী ব্যবস্থা নেওয়ায় হয়েছে তা এদিন আদালতের কাছে তুলে ধরেন অ্যাডভোকেট জেনারেল। তিনি জানান, ‘এখনও পর্যন্ত সাক্ষীদের সুরক্ষা দেওয়ার জন্য ৩১ টি সিসিটিভি বসানো হয়েছে। পাশাপাশি, একজন ছাড়া সমস্ত মৃতদেহের ময়না তদওন্ত সম্পন্ন হয়েছে।ঘটনায় ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য দিল্লি থেকে একটি ফরেনসিক দল আসার কথা রয়েছে । তারা এখনও এসে পৌঁছননি।’ অন্যদিকে, এদিন মামলার শুনানিতে মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষতিপূরণ দেওয়া নিয়েও প্রশ্ন তোলেন 🐼আবেদনকারীদের আইনজীবীরা। তাদের বক্তব্য, বিষয়টি যেহেতু বিচারাধীন রয়েছে তাই মুখ্যমন্ত্রী এভাবে ক্ষতিপূরণ দিতে পারেন না। এরফলে মুখ্যমন্ত্রী তাদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন বলে আবেদনকারীদের আইনজীবীরা অভিযোগ করেন।