‘স্কুল যেতে ভালো লাগে?’
— ‘নাহ।’
— ‘তাহলে রোজ পরিপাটি হয়ে স্কুল যাস কেন?’
— ‘মিডডে মিল খাব না?’
শুনতে অস্বস্তি হলেও বহু স্কুলপড🦋়ুয়ার জীবনের বাস্তব এটাই। অনেকের কাছে স্কুলের নাম আবার খিচুড়ি স্কুল। অর্থাৎ খিচুড়ি দেওয়া হয় মিডডে মিলে। এমন খিচুড়ি স্কুলের সংখ্যা বাংলায় অসংখ্য। আর সেখানেও এবার বাজারের আকাশছোঁয়া দামের ছ্যাঁকা ল☂াগছে। সাম্প্রতিককালে বাজারের সব জিনিসেরই দাম বেড়েছে। একদিকে যেমন শীত পড়লেও কমছে না সবজির দাম, তেমনই অন্যদিকে আলু. পেঁয়াজের দামও ছুঁয়েছে আকাশ। এই অবস্থায় সস্তায় পুষ্টিকর বলে পরিচিত বাঙালির অতি সাধের ডিমের দামও বেড়ে গিয়েছে। প্রভাব পড়তে শুরু করেছে মিডডে মিলের উপর। কখনও ডিমের ভুজিয়া, কখনও আবার অর্ধেক ডিম, এভাবেই মিডডে মিলের সময় পড়ুয়াদের পেট ভরাতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন - ৪.৩ কোটির বার্ষিক প্যাকেজ! রেকর্ড অঙ্কের প্লেস🃏🌊মেন্ট অফার পেল IIT পড়ুয়া
বরাদ্দ বাড়িয়েছে কেন্দ্র
সম্প্রতি মিড-ডে মিলের বরাদ্দ বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রি-প্রাইমারি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত মিড-ডে মিলের বরাদ্দ আগে ছিল ৫টাকা ৪৫ পয়সা। ৭৪ পয়সা বℱেড়ে এখন হয়েছে ৬ টাকা ১৯ পয়সা। উচ্🎉চ প্রাথমিক অর্থাৎ ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য মিড-ডে মিলের বরাদ্দ ছিল ৮ টাকা ১৭ পয়সা। যা ১ টাকা ১২ বয়সা বেড়ে হয়েছে ৯ টাকা ২৯ পয়সা। কিন্তু এর সঙ্গেই যেন পাল্লা দিয়েছে ডিমের দাম।
শিক্ষক-শিক্ষিকাদের আশঙ্কা
বাজারে অন্যান্য জিনিসের সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ডিমের দাম। এখন সেটি গড়ে ৭-৮ টাকা। ব্যবসায়ীদের আশঙ্কা এই দাম আরও বাড়তে পারে। তখন কি পড়ুয়াদের আর ডিম দেওয়া সম্ভব হবে? বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কথায়, কঠিন হয়ে দꦍাঁড়াচ্ছে পরিস্থিতি। বরাদ্দ বাড়ানোর পরেও পড়ুয়াদের ঠিকমꦬতো খাওয়ানো যাচ্ছে না।
আরও পড়ুন - শীতে মিষ্টি খাবার মরণফাঁদ নয় 🐭তো? সুগা🅰র না থাকলেও কেন এড়িয়ে চলবেন