২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে পড়ুয়াদের বছরে দুই দফায় বোর্ড পরীক্ষা দেওয়ার বিকল্প প্রদান করা হবে বলে জানালেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কথায়, পড়ুয়াদের ওপর থেকে পড়াশোনার চাপ কমাতেই এই পরিকল্পনার কথা ভাবা হচ্ছে। এছাড়া ২০২০ সালে গৃহীত জাতীয় শিক্ষা নীতি অনুসরণ করেই বছরে দুই দফায় বোর্ড পরীক্ষা করানোর কথা ভাবা হচ্ছে বলে জানান ধর্মেন্দ্র প্রধান। মন্ত্রীর কথায়, ২০২০ সালের জাতীয় শিক্ষা নীতিতে বছরে দুই দফায় বোর্ড পরীক্ষা করানোর কথা বলেছিল। পড়ুয়ারা যাতে অ্যাকাডেমিকভাবে এগিয়ে যাওয়ার যথেষ্ট সুযোগ পায়, তাই সেই কথা বলা হয়েছিল। তিনি জানান, দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণি, উভয় ক্ষেত্রেই দুই দফায় বোর্ড পরীক্ষা হতে পারে। (আরও পড়ুন: গোটা পাকিস্তানের অর্থনীতির থেকেও বড় টাটা! নয়া উচ্চতায় ♔ভারতীয় গোষ্ঠী)
আরও পড়ুন: অপেক্ষা মে পর্যন্ত, নাকি তার আগেই আচমকা হবে ডিএ বৃদ্ধি? সඣঙ্গে বাড়বে বেতন?
গত বছরের অগস্টে শিক্ষা মন্ত্রকের দ্বারা ঘোষিত নিউ কারিকুলাম ফ্রেমওয়ার্ক অনুসারে, শিক্ষার্থীদের ভালো করার জন্ꦍয পর্যাপ্ত সময় এবং সুযোগ নিশ্চিত করতেই বছরে অন্তত দুবার বোর্ড পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এই দুই পরীক্ষার মধ্যে যে পরীক্ষায় তারা বেশি ভালো মার্কস পাবে𓆉, সেটাকেই প্রাপ্ত মার্কস হিসেবে ধরা হবে। ইঞ্জিনিয়ারিং প্রবেশিকা পরীক্ষা জেইই-র ক্ষেত্রেও বছরে দু'বার পরীক্ষা হয়। পড়ুয়ারা যাতে এটা না ভাবেন যে তাদের একটা বছর নষ্ট হয়ে যাবে, তার জন্যেই দু'বার বোর্ড পরীক্ষার কথা ভাবা হচ্ছে। এতে পড়ুয়াদের কাছে সুযোগও বাড়বে। একটা পরীক্ষা খারাপ হলেও পরের পরীক্ষায় তা শুধরে নিতে পারবেন তারা।
আরও পড়ুন: করদাতা পিছু 𝄹১ লাখ টাকা করে বকেয়ার দ🎃াবি প্রত্যাহার করবে IT বিভাগ, শুরু প্রক্রিয়া
নয়া পদ্ধতিতে কোনও পড়ুয়া যদি মনে করে যে সে পুরোপুরিভাবে তৈরি আছে আর প্রথম পরীক্ষায় যে নম্বর তুলেছে সেটাই ঠিক আছে তবে তাকে আর দ্বিতীয়বার পরীক্ষা দেওয়ার দরকার নেই। অর্থাৎ, বছরে দু'বার পরীক্ষা হলে যে দু'বারই পরীক্ষা দিতে হবে, এমন কোনও বাধ্যবাধকতাও থাকবে না। মন্ত্রীর কথায়, 'প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী চাইছেন যাতে জাতীয় শিক্ষা নীতির মাধ্যমে ছাত্রদের চাপমুক্ত রাখা যায়। এরই সঙ্গে পড়ুয়াদের মানসম্পন্ন শিক্ষা দিয়ে তাদের সমৃদ্ধ করার 🌌লক্ষ্যেও অবিচল আমরা। শিক্ষার্থীদের সংস্কৃতির সঙ্গে যুক্ত রাখতে চাই আমরা। পাশাপাশি ভবিষ্যতের জন্য তাদের প্রস্তুত করতে চাই। এভাবেই ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারতকে একটি উন্নত দেশে পরিণত করা সম্ভব হবে।'