প্রায় ৬ মাস হতে চলল করোনা অতিমারীর জেরে স্কুল, কলেজ-সহ সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। অনলাইন ক্লাসই এখন মূল ভরসা। কিন্তু এখনও প্রায় ৫০ শতাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অনলাইন পাঠদানে স্বচ্ছন্দ নন। টিমলিজ সংস্থা এড-টেক ফার্ম স্কুলগুরু এডু সার্ভের 'ভারতীয় উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষাদান এবং শিক্ষাগ্রহণ ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার' শীর্ষক সমীক্ষায় এই তথ্য উঠে এসেছে।ভারতে ১২০০-এরও বেশি শিক্ষকের নিয়ে পরিচালিত সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে, সিংহভাগ শিক্ষকই (৮৯.৯২ শতাংশ) করোনার আগে শিক্ষায় প্রযুক্তি ব্যবহার করেননি। মাত্র ৪.২ শতাংশ শিক্ষককে অনলাইনে শিক্ষাদানের সরঞ্জাম ও কৌশল সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে এবং ১৭.৪৮ শতাংশ দাবি করেছেন যে তাঁদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতীয় প্রশিক্ষণ নেওয়ার পরিকল্পনা করছে। ৮২.৫২ শতাংশ শিক্ষকের কোনও প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ নেই।যদিও ৯২ শতাংশেরও বেশি শিক্ষক বিশ্বাস করেন যে অনলাইন শিক্ষাদান শ্রেণিকক্ষে সশরীরে পাঠদানের থেকে আলাদা, তাঁরা কখনওই অনলাইনে শিক্ষার জন্য কোর্সওয়্যার তৈরি করেননি বা তাঁদের অনলাইন শিক্ষার জন্য কোর্সওয়্যার-এর এক্সপোজার ছিল না। সমীক্ষা অনুসারে, উত্তরদাতাদের মধ্যে মাত্র তিন শতাংশই অনলাইনে শিক্ষাদানের বিষয়বস্তু তৈরির অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন।স্কুলগুরু এডুসার্ভের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শান্তনু রুজ বলেন, 'শিক্ষকরা যে সমস্যায় পড়ছেন তার প্রাথমিক কারণ হ'ল দক্ষতা ব্যবধান। ৮২ শতাংশ শিক্ষক বলেছেন যে কলেজগুলি তাঁদেরকে অনলাইন শিক্ষার সরঞ্জাম এবং কৌশল সম্পর্কে কোনও প্রশিক্ষণ দেয়নি। বর্তমান পরিস্থিতিতে আরও ভাল প্রস্তুতি নেওয়া প্রয়োজন। প্রতিষ্ঠানগুলোকে শিক্ষকদের ধারাবাহিক ভাবে দক্ষতা বাড়ানোর জন্য উন্নত প্রযুক্তির প্রশিক্ষণ দিতে হবে।'এদিকে, মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত একটি অনলাইন সম্মেলনে ভারতের রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দ বলেছেন যে, ২০২১ সালের মধ্যে শিক্ষক প্রশিক্ষণের জন্য একটি নতুন পাঠ্যক্রম তৈরি করা ভারতের লক্ষ্য। একমাত্র উন্নত মানের শিক্ষা এই খাতে থাকবে।