শিক্ষক হয়ে ওঠার জন্য ডিএলএড ও বিএড বর্তমানে জরুরি বুনিয়াদি শিক্ষা বলে গণ্য করা হয়। ফলে যারা শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন দেখেন তাদের কাছে বিএড ডিগ্রি এক আলাদাই গুরুত্ব বহন করে। পাঠক্রম শেষ করে পরীক্ষার ফল প্রকাশ করার কথা ছিল এক বছরের মধ্যে। কিন্তু অভিযোগ, দু’বছরের বেশি কেটে গেলেও এখনও ফল বেরোয়নি রাজ্য বিএড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা ইন এডুকেশন প্ল্ജযানিং অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কোর্সের। ওই পাঠক্রমের পড়ুয়ারা জানাচ্ছেন, কেন ফল বেরোচ্ছে না, তা তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বার বার জানতে চেয়েছেন। কিন্তু সদুত্তর মཧেলেনি।
পড়ুয়ারা জানাচ্ছেন, ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে তাঁদের পাঠক্রম শুরু হয়। ২০২২ সালের জুন মাসে প্রথম সিমেস্টারের পরীক্ষা হয়। আর জুলাই মাসে ফল বেরিয়ে যায়। কিন্তু এর পরে দ্বিতীয♛় সিমেস্টারের পরীক্ষা পরের ছ’মাসের মধ্যে হওয়ার কথা থাকলেও তা বিলম্বিত হতে হতে ২০২৩ সালের অক্টোবর ꦜহয়ে যায়।
পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা ইন এডুকেশন প্ল্যানিং অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের এক পড়ুয়া জানান, দ্বিতীয় সিমেস্টারের পরীক্ষা হতে দেরি হওয়ায় এমনিতেই আমাদের কোর্স শেষ꧟ হতে অনেকটা দেরি হয়ে গিয়েছিল। এর পরে আবার দেখা যাচ্ছে, ফল বেরোতেও নতুন করে দেরি হচ্ছে। ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি হয়ে গেল। এখনও দ্বিতীয় সিমেস্টারের ফল বেরোল না। এতে আমাদের ভবিষ্যতের ওপর প্রভাব পড়বে।
ওই পড়ুয়ারা জ𒉰ানাচ্ছেন, এটি একটি পেশাদার পাঠক্রম। যা শেষ করতে পারলে সরকারের শিক্ষা ও পরিকল্পনা বিষয়ক নানা কাজে তাঁরা নিযুক্ত হতে পারবেন। যথেষ্ট ঝাড়াই-বাছাই করার পরেই এই পাঠক্রমে তাঁদের নির্বাচন করেছিল বিশ্বব♈িদ্যালয়। কিন্তু পরীক্ষার ফল এখনও না বেরোনোয় তাঁরা কাজের জায়গাতেও পিছিয়ে পড়ছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্তা অবশ্য জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ কিছু কারণে ফল বেরোতে একটু দেরি হচ্ছে। খুব দ্রুতই ফল প্রকাশ করে দেওয়া হবে। পড়ুয়াদের চিন্তার কো𒈔নও কারণ নেই। তাদের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রাখা হয়েছে।
এর আগেও গত বছর অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাজ্যের বিএড বিশ্ববিদ্যালয়। যা নিয়ে এবার মুখ খুললেন♕ শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। বিষয়টিতে চরম উষ্মা প্রক🎉াশ করেছেন তিনি। পাশাপাশি, আইনি পদক্ষেপেরও হুঁশিয়ারি দেন রাজ্য়ের মন্ত্রী।
উল্লেখ্য, রাজ্য়ের বিএড বিশ্ববিদ্যালয় তথা বাবাসাহেব আম্বেদকর এডুকেশন ইউনিভার্সসিটির তরফে🌠 একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। সেখানেই অনির্দিষ্টকালের জন্য প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছে। হুমকি ও বিক্ষোভের কারণ দেখিয়ে এই নোটিস দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। একদিনের মধ্যেই যা নিয়ে কড়া ভাষায় আক্রমণ শানালেন রাজ্যের শিক🧔্ষামন্ত্রী।