নিয়মিত সূচি মেনে ২০২১ সালের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে সিবিএসই বಌোর্ড পরীক্ষা (CBSE Board Exam 2021) আয়োজিত হবে না, ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশঙ্ক।
মঙ্গলবার শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সঙ্গে অনলাইন বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এতদন পর্যন্ত জানুয়ারি মাসে প্র্যাকটিক্যাল এবং ফ🎶েব্রুয়ারি মাসে সিবিএসই দশম শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষার থিওরিটিক্যাল পরীক্ষা⛎ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু কোভিড পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে পাঠ্যসূচি সম্পূর্ণ করার লক্ষ্যে আগামী বছর জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে বোর্ড পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হবে না।
শুধু তাই নয়, অনলাইন মাধ্যমেও বোর্ড পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব নয় কারণ প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের বাসিন্দা বহু পড়ুয়া এখনও পর্যন্ত ইন্টারনেট সংযোগ থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ায় ডিজিটাল🐷 প্ল্যাটফর্মে স্বচ্ছন্দ হতে পারেনি এবং সেই কারণেই অনলাইন পরীক্ষা দিতে অসমর্থ।
অনলাইন শিক্ষণ পদ্ধতির কথা মাথায় রেখে পাঠ্যসূচিতে আরও কাট-ছাঁট করা যায় কি না, সে সম্পর্কে বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রীর উদ্দেশে প্রশ্ন করেন এক শিক্ষক। জবাবে মন্ত্রী বলেন, ইতিমধ্যেই সিবিএসসি ও দেশের অন্যান্য স্কুলবোর্ড পাঠ্যসূচির বেশ কিছু অংশ ছাঁটাই করেছে। এ ছাড়া, বোর্ডের পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীদের পাঠ্যসূচির অন্তর্গত মাত্র ৩৩% প্রশ্নের উত্তর লিখতে দেওয়া হয়🌠। তাই আসন্ন বোর্ড পরীক্ষার প্রেক্ষিতে ছাত্রদের পড়াশোনার ক্ষেত্রে এর আগেই যথেষ্ট নমনীয়তা দেখানো হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী। তাঁর মতে, এর পরেও পাঠ্যক্রম হ্রাস করার কোনও অবকাশ নেই।
এক শিক্ষক জানতে চান, অতিমারীর কারণে পড়ুয়াদের প্রস্তুতির স্বার্থে ২০২১ সালের দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষা পিছোন সম্ভব কি না। শিক্ষাম♋ন্ত্রী তাঁকে বলেন, জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে সিবিএসসি বোর্ড পরীক্ষা নেওয়া হবে না। পরিবর্তিত পরীক্ষাসূচি নিয়ে আলোচনা চলেছে এবং কিছুদিনের মধ্যে চূড়ান্ত নি♎র্ঘণ্ট প্রকাশ করা হবে।
অন্য এক শিক্ষক প্রশ্ন তোলেন, উচ্চ শিক্ষায় ভরতির জন্য প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সিলেবাস ছাঁটাইয়ের সম্ভাবনা আছে কি? শিক্ষামন্ত্রী এর জবাবে বলেন, কিছু কিছু বোর্ড ৩০% পাঠ্যক্রম ইতিমধ্যে ছেঁটে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে অন্য বোর্ডগুলি এমন সিদ্ধান্ত জানায়নি। এই অবস্থায় শিক্ষক ও শিক্ষার্থী উভয়েই বিভ্রান্ত। সমস্যার সমাধান খুজতে জয়েন্ট এন্ট্রান্স মেন ২০২০ পরীক্ষায় (JEE Main 2020) পরীক্ষার্থীদের জন্য মোট ৯০টি প্রশ্নের মধ্যে ১৫ꦺটি অপশনাল রাখা হয়েছে।
আর একজন শিক্ষক জানান, কোবিড পরিস্থিতিতে ছাত্র ও শিক্ষক উভয়েরই মানসিক চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। এর জবাবে শিক্ষামন্ত্রী অতিমারী আবহে ছাত্রদের শুধুমাত্র পড়াশোনা নয়, সেই সঙ্গে মানসিক চাপ সহ্য করতে শিক্ষকদের আগ্রণী সহায়তামূলক পদক🥂্ষেপের প্রশংসা করেন। ২০১৯ সাল থেকে দেশের শিক্ষকমহলের সঙ্গে যৌথ প্রচেষ্টায় ছাত্রদের মানসিক স্থিতির স্বার্থ ‘মনোদর্পণ’-এর মতো একাধিক সদর্থক পরিকল্পনা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। পাশাপাশি, সামগ্রিক সুস্থতার উদ্দেশে যোগা ও ফিট ইন্ডিয়া প্রকল্পের ব্যাপক প্রচারের ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন।