করোনার জেরে যাঁরা বেতন সংকোচনের কোপে পড়েছিলেন, এবারের উৎসবের মরশুম তাঁদের কাছে আশীর্বাদে পরিণত হতে চলেছে। অর্থনৈতিক পরিস্থিতি চাঙ্গা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছু সংস্থা নভেম্বরের আগে কোভিড -১৯ এর আগের অবস্থা পুনরুদ্ধারের জন্য গ্রেড পদ্ধতিতে পুরনো হারে বেতন ফের চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে।তালিকায় রয়েছে, লুমাক্স ইন্ডাস্ট্রিজ এবং সুন্দর টেকনোলজিস, অ্যাডটেক ফার্ম আপগ্রেড এবং টাপ্পার, নির্মাণ সরঞ্জামাদি উৎপাদন সংস্থা টিআইএল, ইন্টিরিয়ার ডিজাইন এবং গৃহসজ্জা সংস্থা লিভস্পেস, ইঞ্জিনিয়ারিং সংস্থা ফোর্বস মার্শাল এবং ডেকি ইলেক্ট্রনিক্স।কর্মচারীদের মজুরি অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা হলেও, রফতানি সংস্থাগুলি তাদের ম্যানেজমেন্টের উচ্চপদস্থ কর্মীদের বেতন পুনর্বহাল করার আগে এখন wait-and-watch নীতির ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছে।Aon Indiaর CEO নীতিন শেঠি বলেন, বেশ কয়েক মাস ধরে বেসরকারি সংস্থাগুলি কর্মীদের পুরনো বেতন পুনরুদ্ধার করা শুরু করেছে। কর্মীদের দক্ষতা বজায় রাখা, ঠিক পথে চালনা ও অনুপ্রাণিত করা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন।বেশ কিছু বেসরকারি সংস্থা দেশজুড়ে লকডাউনের জেরে এপ্রিল মাসে ৫% থেকে ৫০% বেতন কমিয়েছে, এমনকি কর্মী ছাঁটাইও হয়েছে। ইদানীং অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। সেই কারণে কর্মীদের মনোবল বাড়াতে উদ্যোগী হয়েছে কিছু সংস্থা।বিশ্বের ২০০০ কোম্পানি ও দেশের মধ্যে ৪২৫টির ওপর সমীক্ষা করে Aon India দেখেছে, ১২% সংস্থা ইতিমধ্যেই কর্মীদের বেতন পুনরুদ্ধার করেছে এবং ২০% সংস্থা শিগগিরিই বেতন পুনরুদ্ধারের ঘোষণা করতে চলেছে। সুন্দর টেকনলজির প্রতিষ্ঠাতা জয়ন্ত দাভার বলেন, অনুসারি শিল্পের ক্ষেত্রে গড়ে ৩০% বেতন সংকোচন করা হয়েছিল। অগস্ট মাস থেকে প্রতি মাসে ১০% হারে তা পুনরুদ্ধার করা হচ্ছে। ডেলয়েট ইন্ডিয়া জানিয়েছে, টেকনলজি সেক্টরে বেতন পুনরুদ্ধারের বিষয়টি বেশ চোখে পড়ার মতো। সংস্থার অংশীদার আনন্দরূপ ঘোষ বলেন, প্রযুক্তি নির্ভর কিছু শিল্প, প্রায়শই প্রযুক্তির আশপাশে, এখনও সক্রিয় ভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছে এবং সংশ্লিষ্ট শিল্পে কোনও সংকোচন হলে তবেই বিপর্যয় দেখা দিতে পারে।