কিছুদিন আগে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে একেবারে পাইকারি হারে ফেল করেছিলেন পড়ুয়ারা। এবার সামনে এল রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্য়ালয়ের একের পর এক ফেল🅘ের খবর। রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্য়ালয়🦩ের কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের সেমেস্টার পরীক্ষায় ৩০জন ছাত্রছাত্রীই ফেল করেছে বলে খবর। এদিকে পাশ করানোর দাবিতে ছাত্রছাত্রীরা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে বিক্ষোভও দেখিয়েছে। সব মিলিয়ে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের মতোই সেই একই ছবি এবার রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে।
বুধবার তারা বিক্ষোভ দেখিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ে। তাদের একটাই দাবি, তাদের পাশ করিয়༺ে দিতে হবে। তাদের অভিযোগ, সিলেবাসের বাইরে থেকে প্রশ্ন এসে🏅ছিল। সেই প্রশ্ন অনেকেরই জানা ছিল না। সেকারণেই তারা পাশ করতে পারেনি। সেই সঙ্গেই তাদের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়কে বিষয়টি জানানো হয়েছে। কিন্তু তারা পাশ করাতে চাইছে না।
বর্তমান সংবাদপত্রের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের এক ছাত্রের অভিযোগ, অঙ্ক আমাদের জেনারেল পেপার। চতুর্থ সেমেস্টারে পরীক্ষা দিতে এসে দেখি প্রশ্নপত্রে যে সমস্ত অঙ্ক এসেছে তা ক্লাসে করানো হয়নি। আমরা তখন পরীক্ষা দিতে না চাইলেও পরে দিয়েছিলাম। অঙ্কের বিভাগীয় প্রধান আমাদের পাশ করিয়ে দেবেন বলেছিলেন। তিনি কোনও লিখিত প্রতিশ্রুতি দেননি। রেজাল্ট বের হওয়ার পরে কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের ৩০জন ছাত্রছাত্রী ফেল করেছে। আর এবার ফেল করার পরেই পাশ করানোর🧸 আবদার। কারণ সেই অঙ্ক নাকি ক্লাসে করানো হয়নি। কিন্তু নির্দিষ্ট সেই অঙ্কটি ক্লাসে না করালে তাতে পাশ করানো যায় না এটা কেমন কথা সেটাই বুঝতে পারছেন না অনেকে। তবে সূত্রের খবর, মাত্র ১৮জন নিয়মিত ক্লাস করতেন। বাকিদের দেখাই যেত না।
এদিকে গোটা ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছেন রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের অঙ্কের বিভাগীয় প্রধান অধ্য়াপক অশোক দাস। বর্তমানের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে তিনি জানিয়েছেন, ক্লাসে একটা দুটো করে অঙ্ক করানো হয়। বাকিটা বাড়িতে প্র্যাক্টিশ করতে হয়। ক্লাসে করানো অঙ্কই যে পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে থাকবে এমনটা নয়। আর এই একই প্রশ্নপত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন, পদার্থবিজ্ঞানের পড়ুܫয়ারা পরীক্ষা দিয়ে পাশ করে ജগেল। আর কম্পিউটার সায়েন্সের বিভাগের পড়ুয়ারাই পারল না।
তবে এর আগে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়েও দেখা গিয়েছিল এই হতাশার ছবি। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্য়ালয়ের অধীনে সব মিলিয়ে ৪৯টি কলেজ রয়েছে। আর অধিকাংশ কলেজেই সম্প্রতি দেখা গিয়েছিল, প্রথম সেমেস্টারে অধিকাংশ ছাত্রছাত্রী ফেল করেছে। বিএ মেজর-এ ছাত্রদের ফেলের হার ৯৪ শতা𝔍ংশেরও বেশি। আর অন্য়দিকে সব মিলিয়ে প্রায় ৯০ শতাংশের বেশি ছাত্রী পাশ করতে পারেননি। এদিকে বিএসসি-বিকমের ক্ষেত্রে পাশের হার ৩২ শতাংশেরও কম।
সম্প্রতি দেখা গিয়েছিল, নতুন শিক্ষানীতি প্রথম সেমেস্টারে সব মিলিয়ে বিএ মেজর-এ ১৩ হাজার ৬৪২জন ছাত্র পরীক্ষায় বসেছিলেন। সব মিলিয়ে ২২ হাজার ৯৩২জন ছাত্রী পরীক্ষা দিয়েছিলেন। তাদের মধ্য়ে মাত্র ৮১২জন ছাত্র পাশ করেছেন। অর্থাৎ শতাংশের হারে পাশ করেছেন ৫.৫৯ শতাংশ ছাত্র। আর অন্যদিকে ২৩১৯ জন ছাত্রী পাশ করেছেন। সেক্ষেত্রে পাশের হার মাত্র ১০.১১ শতাংশ। বিএসসি মেজর-এ ২০৩২ পরীক্ষার্থী ছিলেন। তার🌳 মধ্য়ে পাশ করেছেন ৫৭০জন। এরপরই কেন অকৃতকার্য হলেন পড়ুয়ারা তা জানতে চেয়ে বিশ্ববিদ্য়ালয় চত্বরে তুমুল বিক্ষোভ দেখিয়েছিলে তারা। পড়ুয়ারা রীতিমতো পোস্টার নিয়ে এসে বিক্ষোভ শামিল হয়েছিলেন।